সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
জেমি ডের রক্ষণাত্মক কৌশলের বদলে অস্কার ব্রুজনের অধীনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফিতে জামাল ভূঁইয়াদের একই মেজাজে খেলাতে চাইছেন নতুন কোচ মারিও লেমস। সময়ের স্বল্পতার কারণে তেমন একটা পরিবর্তনের পক্ষে নন ৩৫ বছর বয়সী কোচ।
আগামী ৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগিতায় সেশেলসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১১ নভেম্বর মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। ১৪ নভেম্বর প্রতিপক্ষ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে আজ (সোমবার) শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
অনুশীলন শেষে লেমস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘দলে অনেক পরিবর্তন আনার জন্য যথেষ্ট সময় আমার হাতে নেই। দল সাফে যেভাবে খেলেছে, তার ধারাবাহিকতা শ্রীলঙ্কাতেও ধরে রাখার চেষ্টা করবো। কিছু কিছু বিষয়ে একটু পরিবর্তন হতে পারে, যেহেতু আমি ভিন্ন কোচ এবং আমার ব্যক্তিত্বও ভিন্ন। সে কারণে আমি কিছু যোগ করার চেষ্টা করবো এবং দলকে প্রস্তুত করবো।’
কলম্বো যাওয়ার আগে দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করতে চাইছেন পর্তুগিজ কোচ, ‘আমি মনে করি না, আমার অধীনে ছেলেদের কোনও সমস্যা হবে। অস্কার যেভাবে ওদের শিখিয়েছে, তার ট্রেনিং স্টাইল, পাসিং গেম, প্রেসিং- এসব ক্ষেত্রে তার সঙ্গে আমার বড় কোনও পার্থক্য নেই। কিছু বিষয় আরও গোছালো হওয়া প্রয়োজন, বল হারালে দ্রুত তা ফিরে পাওয়া, পজেশন হারালে তা পুনরুদ্ধার করা- এইসব বিষয়ে একটু পরিবর্তন আসবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ছোটখাটো বিষয়গুলো পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’
গত ২৫ অক্টোবর ক্যাম্প শুরু হলেও ডাক পাওয়া ২৪ জনের সবাইকে এখনও পাননি লেমস। এর মধ্যে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আজ ঢাকায় এসেছেন। এছাড়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ছয়জন রয়েছে উজবেকিস্তানে। অনুশীলনে না পেলেও খেলার মধ্যে থাকা এই ছয়জনকে পুরোপুরি ফিট পাওয়ার আশা লেমসের, ‘ভালো বিষয় হচ্ছে, আমরা শ্রীলঙ্কা গিয়ে দুই দিন সময় পাবো। ওরা উজবেকিস্তান থেকে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেবে। আমি খেলোয়াড়দের চিনি। আশা করি, তারা ফিট হয়ে যোগ দেবে। ওই দুই দিন সবকিছু ঠিকঠাক করে নিতে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে এবং আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’