অনিন্দিতা সরকার প্রথা »
ঈদ যত কাছে আসছে চট্টগ্রামের শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। রমজানের প্রথমার্ধে ব্যবসায়ীদের কপালে ছিলো চিন্তার ভাঁজ। তবে এখন কিছুটা স্বস্তির ভাব তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। নগরের সানমার ওশান সিটি ঘুরে দেখা গেলো দোকান ও শোরুমগুলোতে ঈদের কেনাকাটা চলছে পুরোদমে।
জিইসি মোড় সংলগ্ন সিডিএ এভিনিউতে অবস্থিত এই শপিংমলটি সব বয়সের মানুষের পোশাক, গুণগত কসমেটিকস ও টেকসই পণ্যের জন্য ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেছে। পুরুষদের পোশাকের শোরুমগুলো মলের প্রথম ফ্লোরে আর নারী ও বাচ্চাদের পোশাকের শোরুম গুলো মলের তৃতীয় ফ্লোরে। সেকেন্ড ফ্লোরে আছে কসমেটিক, জুতো ও গয়নার দোকান।
ব্লু মুন, শৈল্পিক, জেন্টাল পার্কসহ আরও বেশ কিছু শোরুম ঘুরে দেখা গেল নতুন বাহারি সব ডিজাইনের পাঞ্জাবির ঈদ কালেকশন। সাধারণ কটন বাদেও সেখানে জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ কটন। কাপড়ের মান ভেদে এক একটি পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। ঈদের জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য পাঞ্জাবির জনপ্রিয়তা তো আছেই, পাশাপাশি ফরমাল শার্ট ও পোলো শার্টও কিনছেন ক্রেতারা। একেকটি ফরমাল শার্ট বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। পোলো টি শার্ট এর মূল্য ১৫৫০ থেকে ২ হাজার টাকা। ক্যাজুয়াল শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। এছাড়াও ঈদ বাজারে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে পুরুষদের কটি। এগুলোর মূল্য সর্বনিম্ন ২ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা।
শাড়ির দোকানগুলোতেও আছে উপচেপড়া ভিড়। মহিলারা নতুন ঈদ কালেকশন থেকে বেছে নিচ্ছেন নিজেদের পছন্দের কাতান, সিল্ক, মসলিন ও জামদানি শাড়ি। কাতান শাড়িগুলোতে কারুকাজে পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। সিল্ক পাওয়া যাচ্ছে সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায়। মসলিন শাড়ির মূল্য ৪ হাজার থেকে ১০ হাজাট টাকা পর্যন্ত। জামদানি শাড়ির মূল্যও কারুকাজ ভেদে ৩ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।
নারীদের পোশাকে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘হীরামণ্ডি’ জামা। সঞ্জয়লীলা ভানসালির বিখ্যাত ওয়েব সিরিজ ‘হীরামণ্ডি’র মূখ্য চরিত্রগুলোর কস্টিউমের ডিজাইনে তৈরি এই পোশাকগুলি কিনতে নারীরা ভীড় করেছেন দোকানে। এগুলো একেকটির মূল্য ৫ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সারারা, গারারা ইত্যাদি পোশাকেরও যথেষ্ট চাহিদা লক্ষ্য করা যায়।
বাচ্চাদের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। বাচ্চাদের ফ্রক ও ওয়ানপিস পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজাট টাকায়।
শাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী জানান, রমজানের প্রথম দিকে লসের আশঙ্কা থাকলেও এখন দিন যত যাচ্ছে ক্রেতা সমাগমও তত বাড়ছে। ইফতারের পরে ভিড় তুলনামূলক অনেক বেশি থাকে।