নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »
সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় গত রোববার জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম সামশুদ্দিন ওরফে নিশানকে (২০) গ্রেফতার করে। নিশান খাগরিয়া মাইজপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. নাজিমুল ইসলাম ওরফে টিপু’র ছেলে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ একই ইউনিয়নের জোড়ারকুল সাঁচি মিয়ার নির্মাণাধীন ঘরের একটি কক্ষ হতে পলিব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় ১টি দেশীয় তৈরী এলজি উদ্ধার করে। অপরদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে খাগরিয়া ইউনিয়নের আমিরখীল ৭ নম্বর ওয়ার্ড বাদশা বরবাড়ির এলাকায় জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়া (৪৭) কে গ্রেফতার করা হয়। লেদাইয়া আমিরখীল দারোগার বাড়ি এলাকার মৃত সাঁচি মিয়ার ছেলে। পরে লেদাইয়ার স্বীকারোক্তিমতে তার বসতঘরের ধানের গোলার ভেতর থেকে ১টি একনলা লম্বা বন্দুক ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৭ ফেব্রুয়ায়ি অনুষ্ঠিত সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে সাতকানিয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ব্যপক সংঘর্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও বন্দুক দিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রবাজদের গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করে।
জানা যায়, জয়নাল আবেদীন ওরফে লেদাইয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আবছার হত্যার অন্যতম আসামি।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল জলিল বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।