নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া »
বৈশাখ মাসের তীব্র তাপদাহ আর প্রখর রোদ উপেক্ষা করে সাতকানিয়া উপজেলায় অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর অনেক আগে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ কারণে কৃষক-কৃষাণীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বোরো মাঠ সোনালি ধানে ভরে গেছে। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত এলাকা। চলতি বছরের ফলনও চোখে পড়ার মতো। রোপন করতে খরচ, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, কীটনাশক প্রয়োগ সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ কৃষকের সামর্থ্যরে মধ্যে ছিল। একারণে কৃষক-কৃষাণীরা বোরো চাষে আটঘাট বেঁধে নেমেছিলেন মাঠে। চাহিদার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় এখন কৃষক-কৃষাণীর সন্তুষ্ট মনের তৃপ্তির হাসি।
সাতকানিয়া ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় বোরো রোপনের অর্জিত লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর। তন্মধ্যে হাইব্রীড ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর ও উপসী ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সাতকানিয়ার ১টি পৌরসভা ও ১৭ ইউনিয়নের ধানি বিলে কৃষদের মধ্যে অনেকে বোরো ধান কাটছেন আবার অনেকে কয়েকদিন পরে কাটার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর জমিতে তারা হাইব্রীড-ছক্কা, বালিয়া-২, এসএল-৮এইস, হীরা-১৯, হীরা-৬, ব্রী জাতের ৮১, ১০০, ৯২, ৮৮, ৮৪, ৮৯, ৭৪, ৭৫, ৬৭, ৫৮, ৫৫, ২৮, পাজাম, জুইন্না চিকন, সেরা এসিআই-১, ব্রাক-১১, কৃষিবিদ-১, তেজ গোল্ড, চমক-৬ ধান রোপন করেছেন। অনেক কৃষক উপজেলার মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সারিবদ্ধভাবে ধান বপন করেছেন। কৃষিবিদদের পরামর্শমতে চাষ করার কারনে তাদের ছাহিদার চেয়ে ও বেশি ফলন আশা করতে পারছেন।
উপজেলার সোনাকানিয়ার গারাংগিয়া গ্রামের বোরো চাষী শাহাদত, হাতিয়ার কুলের কৃষক আরিফ, জাহাঙ্গীর, সদর ইউনিয়নের আবদুর গফুর, এঁওচিয়ার আহমদ হোসেন, মার্দাশার জাফর আলম জানান, তারা এখন জমির বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন।
পৌরসভার বোরো চাষী আবদুল মন্নান জানান, মৌসুমের শুরুতেই জমির বোরো রোপন করছি তাই এবছর অনেক আগে ধান কাটতে পারছি। তাছাড়া ক্ষেতের ফলনও আশানুরূপ হয়েছে।
বোরো চাষী মোহাম্মদ আবদুর রহিম জানান, বর্তমান ধানের বাজার দর অপরিবর্তিত মথাকলে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যয় পুষিয়ে লাভবান হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।
সাতকানিয়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম জহির জানান, এবছর একটু আগে থেকে বোরো চাষীরা মাঠের পাকা ধান কাটছেন।
সাতকানিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান এখন উপজেলার বোরো চাষীরা মাঠের ধান কাটা শুরু করেছেন। যারা উপজেলার সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বোরো ধান বপন করেছেন তাদের ফলন আশা করি চাহিদার চেয়ে আরও কয়েকগুন বেশি ফলন হয়েছে। তিনি আরও জানান, এবারে ধানের বাজার দাম বেশি থাকায় কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন।