সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মুলতান টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে মোটেও কষ্ট হয়নি পাকিস্তানের। স্বাগতিকদের সহজ জয়ের নায়ক দুই স্পিনার সাজিদ খান ও আবরাব আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন মিলে শিকার করেছেন ৯ উইকেট। এতে ক্যারিবীয়রা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১২৩ রানে। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ২৫১ রানের। কিন্তু স্বাগতিকদের বোলারদের তোপে ১২৩ গুটিয়ে ১২৭ রানের হার হজম করেছে ক্যারিবীয়রা। এতে দ্ইু ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। পাঁচ দিনের টেস্ট শেষ হয়ে গেছে আড়াই দিনে। এই টেস্টে মোট খেলা হয়েছে ১৭৭.২ ওভার। যা পাকিস্তানের মাটিতে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত টেস্ট ম্যাচের রেকর্ড। গতকাল রোববার ৩ উইকেটে ১০৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে মাত্র ৪৮ রান তুলতেই বাকি ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দিনের প্রথম বলেই সউদ শাকিলকে (৯ বলে ২) জাস্টিন গ্রেভসের হাতের ক্যাচ বানান ওয়ারিক্যান। ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও (৬ বলে ২) তুলে নেন তিনি। কাভিম হজের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরত যান রিজওয়ান। কামারান গুলামের লড়াইটাও শেষ হয় ওয়ারিক্যানের ঘূর্ণিতে। ৬৬ বলে ২৭ রান করে তেবিন ইমল্যাচের তালুবন্দি হন তিনি। কামরানের উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন ওয়ারিক্যান। এরপর নোমান আলী (১৫ বলে ৯) ও সাজিদ খানের (৬ বলে ৫) উইকেটটাও তুলে নেন ওয়ারিক্যান। কোনো বল মোকাবেলা না করা খুররম শাহজাদকে রানআউটেও ছিল তারই অবদান। অর্থাৎ পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসকে তছনছ করে দিতে একাই যথেষ্ঠ হন ওয়ারিক্যান। এর আগে ৩৮ বলে ১৪ রান করা সালমান আলী আগাকে ফেরান আরেক স্পিনার গুদাকেশ মোতি। এতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৫৭ রানে। ওয়ারিক্যান শিকার করেন ৩২ রানে ৭ উইকেট। ২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের হয়ে কেবল লড়াই করেন অ্যালিক অ্যাথানেজে। সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৬৮ বলে ৫৫ রান (৭ চারে) করেন তিনি। বাকিদের কেউ ২০ রানের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন সাজিদ খান। সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ২৩০ ও ১৫৭ (মাসুদ ৫২, হুরায়রা ২৯, কামরান ২৭, সালমান ১৪; ওয়ারিকান ৭/৩২, মোতি ১/৪৮), ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৭ ও ১২৩ (অ্যাথানাজ ৫৫, ইমল্যাচ ১৪; সাজিদ ৫/৫০, আবরার ৪/২৭)। ফল: পাকিস্তান ১২৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: সাজিদ খান।