সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা তারকা তিনি। কিছুদিন আগেও এই অলরাউন্ডারকে ছাড়া বাংলাদেশ স্কোয়াডের কথা চিন্তা করা যেতো না। সময়ের ব্যবধানে সেই সাকিবের জায়গাই এখন নড়বড়ে।
ব্যাটে-বলে যে সাকিবকে এতদিন বাংলাদেশ চিনতো, সেই সাকিবের এখন দেখা মিলছে না। ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে কোনো উইকেটই পাননি সাকিব। অথচ আগে দলের ট্রাম্পকার্ড ছিলেন তিনি। এই টেস্টে ব্যাট হাতে মাত্র ৫৭ রান করেছেন এ অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে সাকিবের একাদশে থাকা প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক জানতে চান, আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি সাকিব সবকিছুতে সংগ্রাম করছে। এমন একজন ক্রিকেটারকে দলে রাখা অধিনায়ক হিসেবে আপনার জন্য কঠিন হয় কী না?
এই প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন, মাশাআল্লাহ। আমি যেটা বললাম, অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কিনা, দলের প্রতি নিবেদন কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি।’
টাইগার কাপ্তান আরো বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কিনা। অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এরকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই পর্যন্ত- সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এমন না যে, রান করছে বা রান করছে না।’
সাকিব প্রথম টেস্টে ব্যাটে-বলে ভূমিকা রাখতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩২ রান করলেও আউট হয়েছেন অহেতুক শট খেলতে গিয়ে। বল করেছেন মাত্র ৮ ওভার। রান দিয়েছেন ছয়ের বেশি করে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ২৫ রান। বল হাতে ১৩ ওভার বোলিং করে আগের মতোই রান দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সাকিবকে নিস্প্রভ দেখাচ্ছিল অনফিল্ড। তবে শান্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় না নিয়ে তার নিবেদন কেমন সেটা নিয়েই ভাবছেন বেশি।
শান্ত যোগ করেন, ‘এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়, তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি তার চিন্তাভাবনা কেমন, দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য ওই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি, দলে যে ১৫-১৬টা ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’