‘মানুষ মানুষের জন্যে, এই ক্ষেত্রে কোন ভেদাভেদ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সকল সম্প্রদায় যে অবদান রেখেছে তা ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে। একে কলংকিত করার অপচেষ্টা যারা করছে সরাসরি তারা তথাকথিত বিরোধী দল। তাদের কোন রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই। আছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির অপকৌশল মাত্র।’
গতকাল আন্দরকিল্লা চত্বরে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা একটি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ শক্তি, এই শক্তিকে সুরক্ষা করাই আমাদের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সামাজিক অধিকার এবং ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানবাধিকারের মূল নীতিমালা সুরক্ষা করাটা-ই একমাত্র লক্ষ্য হতে হবে। আদর্শিক, নীতি-নৈতিকতার প্রতি আস্থা রেখে সামনের দিকে এগুতো হবে। এই পথযাত্রায় আপনাদের ভালকে ভাল বলতে এবং মন্দকে মন্দ বলতে হবে। তাহলেই আমাদের দল পরিশুদ্ধ হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ মান্নান, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত একটি পবিত্র স্থান। এখানে সকল ধর্মাবলম্বীর সহাবস্থান ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই ধারাকে সুরক্ষা করতে পারলেই আমাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে।
আ জ ম নাছির বলেন, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যখন মেয়র ছিলেন, তখন নগরীর সম্প্রীতি সুরক্ষা ছিল। ২০০১ সালে সুকৌশলে আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বিষ বাষ্প ছড়িয়েছিল তার প্রতিক্রিয়া চট্টগ্রামে ঘটেনি। মহিউদ্দিন ভাইয়ের নেতৃত্বে লালদীঘি পাড়ে যে সমাবেশ হয়েছিল তারই একজন স্বাক্ষী। এ থেকে অনুধাবন করি যে, সম্প্রীতি শুধু সমাবেশ করে নয়, আমাদের অন্তরে এবং মনোজগতের ভাবনাগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে এবং সামনে নির্বাচন প্রত্যেকেরই প্রয়োজন আত্মশুদ্ধি অর্জনের।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, উপ-দপ্তর সম্পাদক জহর লাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমেদ।
সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মো. ইসহাক, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হাসান মোহাম্মদ সমশের, মশিউর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুল হক মিয়া, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ, জালাল উদ্দিন ইকবাল, আবু তাহের, শহীদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম চৌধুরী, আবদুল লতিফ টিপু, ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ। এছাড়া ১৫টি থানা এবং ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ নিজ নিজ ওয়ার্ডের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করেন। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ