‘আমার শহর, আমার ভাবনা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামীর নগরপিতাকে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে নগরকে সাজাবে এমনই প্রত্যাশা করছেন নগরীর তরুণ ও সমাজের বিশিষ্ট জনেরা।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দৃষ্টি চট্টগ্রাম ও ইপসার আয়োজনে চসিক নির্বাচন নিয়ে তরুণ্যদের ভাবনা ‘আমার শহর, আমার ভাবনা’ অনুষ্ঠানে তরুণ সমাজ ও আলোচকবৃন্দ এ প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে তরুণরা আগামীর নগরপিতা কাছে কেমন নগর প্রত্যাশা করেন সে সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তরুণরা আগামীর চট্টগ্রামকে সুপরিকল্পিত, নারীবান্ধব, যানজটমুক্ত, শিক্ষাবান্ধব, সমন্বিত উন্নয়ন ও তরুণদের কথা মাথায় রেখে নগর সাজাতে আগামীর নগর পিতার কাছে প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে তরুণদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্র্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা বলেন, নগর উন্নয়নে শুধুই মেয়রের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না, নাগরিকদেরও নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষাখাতে পরিকল্পনা ও সৎ সাহসের অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে সাবেক মেয়রদের উদাসীনতা ও সৎ সাহসের অভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না।
নগর উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদুৎ বড়ুয়া বলেন, এ নগরে সুপরিকল্পনার অভাব ছাড়া সব কিছুই রয়েছে। এ নগরের জায়গা, জনবল ও সব ধরনের সুযোগ থাকলেও সুপরিকল্পনার অভাবে বিশ্বের অন্যান্য মহানগরী থেকে পিছিয়ে রয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও নাগরবাসীদের সাথে মেয়রের সম্পর্কই নগর উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার উল্লেখ করে চট্টগ্রাম ক্লাবের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, মেয়রের প্রথম কাজ হচ্ছে ভোটারদের সাথে অর্থাৎ নগরের নাগরিকদের সাথে সংযুক্ত থাকা। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া উন্নয় সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, একজন মেয়র শুধুই নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সংযুক্ত থাকবে না, তাকে নগরের স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ের সবার সাথে একটা ভাল সম্পর্ক তৈরি করে নগর উন্নয়ের কাজ করে যেতে হবে।
নগরের উন্নয়নের সাথে নাগরিকদের সম্পৃক্ততার অভাবে উন্নয়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, নগরের অনেক উন্নয়ন কার্যক্রমে নগরবাসীদের সম্পৃক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।
দৃষ্টির সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুরুতে বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আজাদ তালুকদার, সংগঠক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক যুবপ্রধান গোলাম বাকি মাসুদ ও উন্নয়নকর্মী মোহাম্মদ আলী শাহীন।