নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কোরিয়ান ইপিজেডের মাঠে দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ জনসভার আয়োজন করে। এ জনসভা প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভার শুরুতে চট্টগ্রামের উন্নয়নগুলো বক্তব্যে উপস্থাপন করেন নেতাকর্মীরা। এসময় কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে আসে।
গতকাল (শনিবার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে দলীয় এ জনসভা আয়োজিত হয়।
চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ নোমান আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল যেমন যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে অবদান রাখবে, তেমন এটি বাংলাদেশের আরেকটি ইতিহাসও সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল নির্মাণে বাংলাদেশের নাম লেখা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা চাই, নতুন কালুরঘাট সেতুও হয়ে যাক। প্রধানমন্ত্রী আমাকে কথা দিয়েছেন। তিনি সরকার গঠনের আগে চট্টগ্রামের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তা তিনি করেছেন। আশা করি, তিনি এবার কালুরঘাট সেতুও করবেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘বিরোধী শক্তির দাঁত ভাঙা জবাব আমরা এখান থেকেই দিবো। মানবতার দোহাই দিয়ে আমাদের উন্নয়নকে ব্যাহত করবে, তা আমরা মেনে নিবো না। নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল আজ (শনিবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এরপর মানুষ যোগাযোগ আরও সহজতর হবে।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ সরকার থাকলে টানেল ও ফ্লাইওভারের মতো অনেক উন্নয়ন হতে থাকবে। দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আজ ২৮ তারিখ। বিএনপি মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করবে। আর আপনারা মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে। নদীর তলদেশের টানেল, মিরসরাই ইকোনমিক জোন, মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ে, আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, এম এ মান্নান ফ্লাইওভার; কোনটা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি? কোনটা শেখ হাসিনা সরকার করেনি? পৃথিবীর অন্য অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো আছে। আমরা আছি, আমরা থাকবো। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।’
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সভায় চলমান রয়েছে। এতে স্থানীয় ও জাতীয় দলীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।