অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই(রাঙামাটি) »
সবুজের গালিচায় মিশে আছে বেগুনি রঙের সমাহার। এ যেন প্রকৃতির নান্দনিক ক্যানভাস। চারপাশে সবুজ ধান ক্ষেত, মাঝখানে দুর থেকে নজর কাড়ছে বেগুনি রঙের এই ধান চাষের সমাহার। এই চিত্র দেখা মিলেছে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর রেশমবাগান ব্লকে। যা নজর কাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দা সহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত ব্যক্তিদের। বেগুনি ধান চাষ সচরাচর দেখা না যাওয়ায় প্রথমবারের মতো অনেকে তা দেখে বিষ্মিত হচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বেগুনি রঙের ধান যেটি ‘পার্পল রাইস’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। চীন থেকে এটির উদ্ভাবন হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারি উদ্যোগে এটির চাষাবাদ এখনো শুরু হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে এই ধানের চাষ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনার রেশম বাগান ব্লকের কৃষক বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা এই বেগুনি ধান চাষ শুরু করেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে, কৃষক বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, তিনি বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে এই বেগুনি ধানের চারা এনে চাষাবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। বেগুনি রঙের এই নতুন ধানের চাষাবাদে এলাকায় বেশ সাড়া পড়েছে। ফলন ভালো হলে পরবর্তীতে অন্যান্য কৃষকরাও আগামীতে চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করবে বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান আহমেদ জানান, বেগুনি রঙের ধান বা পার্পল রাইস নামের এটি আউশ মৌসুমের ধান। সাধারণ ধানের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। জীবনকাল প্রায় ১৫০ দিনের কাছাকাছি। প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি এবং পরবর্তীতে মূল জমিতে রোপন করে চাষাবাদ করা হয়। ফলন শতক প্রতি ২০ কেজির মতো। হেক্টর প্রতি ৪-৫ মণের মতো হওয়ায় আউশের অন্যান্য জাতের তুলনায় ফলন বেশি হয়। এ ধানের পাতা, কাণ্ড এবং চালের রঙ বেগুনি হওয়ায় এটি ‘পার্পল রাইস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কাপ্তাইয়ে কৃষকরা নিজ উদ্যোগে এই বেগুনি ধানের চাষ করছে। আমরা কাপ্তাই কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করছি।
সবুজের সমারোহে নজর কাড়ছে ‘বেগুনি রঙ’
কাপ্তাইয়ে বেগুনি রঙের ধান চাষ