সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
এমবাপে বোঝালেন কেন তাকে ভবিষ্যৎ ফুটবলের সেরা তারকা ধরা হয়। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে আবারও তিনি প্রমাণ করলেন তিনিই ফ্রান্সের ত্রাতা। ডেনমার্কের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে দলকে জয়ের পাশাপাশি প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে ফ্রান্সকে তোলেন এই পিএসজি তারকা। ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে ডেনমাকর্কে হারাতে সমর্থ হলো ফ্রান্স। এছাড়াও দীর্ঘ সাত বছর পর ডেনমার্ককে হারালো তারা। খবর জাগোনিউজ’র
দুই দলই একের অধিক পরিবর্তন নিয়ে দল সাজায়। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে রাবিও হেড করলে ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত ভঙিমায় সেটি রুখে দেন। ৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডেনমার্ক গোল করার চেষ্টা করে কিন্তু ফ্রান্সের দুর্দান্ত ডিফেন্সের কাছে সেটি পরাস্ত হয়ে যায়। ৪১ মিনিটে আবারও গোলের অন্যতম সহজ সুযোগটি পায় ফ্রান্স ও ডেম্বেলে। চৌয়ামেনির বাড়ানো বলে ডেম্বেলে বল পেলে সেটি দেন এমবাপের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এমবাপের শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতিতে থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ৬১ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড নেয় ফ্রান্স। থিও হার্নান্দেজের পাস থেকে গোল করে দলকে ম্যাচে এগিয়ে দেন এমবাপে। বিশ্বকাপে এটি তার ষষ্ঠ গোল। এক গোল খেয়েই যেন ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে ডেনমার্ক। ৬৮ মিনিটে সমতায় ফেরে ডেনমার্ক। ম্যাচে ফ্রান্সকে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে দেননি বার্সেলোনার ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেন। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা কি দমে থাকার পাত্র! হলোও তাই। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে গ্রিজম্যানের অসাধারণ ক্রসে গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এমবাপে। জোড়া গোল করে বিশ্বকাপে মাত্র ২৩ বছর বয়সে সাত গোলের মালিক হয়ে যান এই ফরাসি তারকা ফুটবলার। শেষ দিকে আরও গোলের সুযোগ পেলেও ফ্রান্স আর গোল করতে ব্যর্থ হলে ২-১ গোলের জয়ে নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।