সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে।’
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আলোচনা সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করে এদেশে কাউকে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার ছোট ভাই রাসেলের মতো আর কোন শিশুকে যাতে হত্যার শিকার হতে না হয়, সেজন্য তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে। আমাদের সংবিধানেও তা বলা আছে। ইসলামেও সে কথাই বলা হয়েছে। মহানবী (স.) বলেছেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। সুতরাং আমরা চাই ধর্ম নিয়ে যেন কেউ বাড়াবাড়ি না করে। এ দেশে সবাই শান্তিতে বসবাস করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভেনিউস্থ দলের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় ভার্চুয়ালি সভায় অংশগ্রহণ করেন।
জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণের পাশাপাশি গৃহহীণকে ঘর করে দেয়া তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশে একটি শিশুর মেধা ও জ্ঞান যাতে যথাযথভাবে বিকষিত হবার সুযোগ পায় এবং সে বাংলাদেশকে যেন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কারণ এত রক্ত ক্ষয় এত কিছু বাংলাদেশে ঘটে গেছে। কাজেই এ ঘরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্ত্রি পরিষদের নিয়মিত বৈঠকেও কুমিল্লায় গুজবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে হামলা ও গোলাযোগ সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।