নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ :
সন্দ্বীপের একটি বাড়ীতে আবারো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে দাবী করেছেন শিল্পী বেগম ও রাহেনা বেগম নামে দুই গৃহিণী। মঙ্গলবার মধ্য রাতে রহমতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডস্থ খুরশীদ সুকানীর বাড়ীর জামাল ও কামরুলের ঘরে এ হামলা হয়।
এ সময় তাদের ঘরে গৃহকর্তা ছিলেন না।
জামালের স্ত্রী বলেন, রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় আকবর, খোকন, রিয়াদ ও রুবেল এই ৪ জন প্রথমে জামালের ঘরের টিনের বেড়ায় ও চালায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে জামালকে খোঁজাখুঁজি করে। পরে না পেয়ে জামালের ছোট ছেলে ২য় শ্রেণির ছাত্র আল ইসলাম (৯) কে গলা টিপে ধরে এবং চর-থাপ্পাড় মারে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া ঘরে টেবিলের ভেতর একটি ব্যাগে রাখা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও জামালের স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩৫) এর গলা থেকে ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় সন্ত্রাসীরা যাওয়ার সময় ঘরের খোলা বারান্দায় স্তূপকৃত শুকনো পাতায় আগুন ধরানোর চেষ্টা করে।
একইভাবে পাশের ঘরের কামরুলের স্ত্রী রাহেনা বেগম বলেন, তার ঘরের দরজায় ওই সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি কোপায় এবং ঘরে ঢুকে ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। কামরুলের বাবা আবুল কাশেম পাশের ঘর থেকে এ সময় ঘটনাস্থলে আসতে চাইলে সন্ত্রাসীরা তাকে বাধা দেয়।
খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে সন্দ্বীপ থানার এসআই মনোয়ারসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে আসেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বয়ান নেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মামলার প্রয়োজনে সন্দ্বীপ থানায় যোগাযোগ করার জন্য বলেন। সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে ছিলেন রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার ইলিয়াছ খান, স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মৌলভী রফিক ও পাশর্^বর্তী ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. কামাল উদ্দীনসহ রহমতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান খান।
এ দিকে এ ঘটনার সাথে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও রহমতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আকবর মাহমুদ বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সুবিধাবাদী মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছে। এ মহলটি ইতিপূর্বে তাকে নানাভাবে হয়রানি ও তার ইমেজ ক্ষুণœ করার চেষ্টা করেছে এবং তাকেসহ যুবলীগ কর্মীদের এখনও ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে।