সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে করোনা ভাইরাসের উপর দায় চাপালেন তুরস্কের প্রাক্তন প্রথম সারির ক্লাবের ফুটবলার সেভহার তিকতোস। ঘটনায় হতবাক ফুটবল বিশ্ব। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ এপ্রিল।
নিজের ছেলেকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন সেভহার। এরপর তুরস্কের বুরসা শহরের একটি হাসপাতালে সন্তানকে ভর্তি করেন তিনি। চিকিৎসকের প্রশ্নের উত্তরে সেভহার জানান করোনা আক্রান্ত ছোট্ট কাসিম। তিনি চিকিৎসকদের আরও জানান যে তীব্র জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল তার সন্তান। সেভহারের কথা শুনে প্রথমটায় তাকে বিশ্বাসও করে নেন চিকিৎসকেরা। যদিও তদন্তের অংশ হিসেবে বাচ্চাটির শরীরে অটোপ্সি করা হয়। করোনা পরীক্ষাতেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ধীরে ধীরে সন্দেহ শুরু হয়।
সন্তানকে হত্যা করে শেষ অবধি আর নিজেকেও আর সামলে রাখতে পারেননি প্রাক্তন এই ফুটবলার। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে পুঙ্খানুপুঙ্খ ঘটনার বিবরণ দেন সেভহার। পুলিশকে তিনি জানান, ‘কাসিম ঘুমিয়ে ছিল, আমি ঘুমের মধ্যেই বালিশ দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরি। প্রাথমিকভাবে সামান্য প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও শেষ অবধি আর পেরে ওঠেনি। পনেরো মিনিট ধরে আমি ওর মুখ বালিশ চাপা দিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় ওর শরীর।’ জানা গিয়েছে ঘটনার পর স্থানীয়দের সাহায্য চেয়ে সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যান সেভহার। ঘন্টাদু’য়েক আইসিইউ’তে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে ছোট্ট কাসিম।
ঘটনার ভয়াবহতায় আঁতকে উঠছেন অনেকেই। কিন্তু এমন নৃশংসভাবে ছেলেকে হত্যা করলেন তিনি? উত্তরে সেভহার বলেন, ‘আমি সন্তান হিসেবে ওকে কখনই চাইনি। অজানা এক কারণে আমি ওকে সহ্য করতে পারতাম না। আমার অপছন্দের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওর।’ সেভহারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুরস্কের প্রিমিয়র ডিভিশন একটি ক্লাবের হয়ে ২০০৭-০৯ খেলেছিলেন সেভহার।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা