স্পট : জয়নগর
নিজস্ব প্রতিবেদক <<
চকবাজারের জয়নগর এলাকা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকাকে সকালে রেডজোন ঘোষণা করে ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু বিকেলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয় সরকার কোনো ধরনের জোন ভাগ করেনি। তার প্রেক্ষিতে অপসারণ করা হয় রেড জোন এলাকার এসব ব্যানার। এতে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে নতুন করে ব্যানার ঝুলানো হয়। গতকাল সোমবার এমন দৃশ্য দেখা যায় ওইসব এলাকায়।
রেড জোন ঘোষণার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। কিন্তু বিকেলে আবার অপসারণ করা হয়েছে সব ব্যানার।
জানা যায়, চকবাজার এলাকায় ৪০২ জন করোনা শনাক্ত রোগী রয়েছে। যার ফলে এলাকাবাসী ও পুলিশের উদ্যোগে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এতে এই এলাকাকে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকাল সকালে জয়নগর এলাকাকে লকডাউন করার সময় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, ‘কোন এলাকায় ১ লাখ করোনা নমুনা পরীক্ষায় ৬০ জনের অধিক শনাক্ত পাওয়া গেলে ঐ এলাকাকে রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়। তা যদি ৪ জনের কম হয় ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তাছাড়া ৩ জনের কম হলে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ হিসাব অনুযায়ী বাগমনিরাম ওয়ার্ডের চমেক হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা ও চকবাজারের জয়নগর এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কিন্তু রেড জোন বা ইয়েলো জোন ঘোষণা করার এখতিয়ার জেলা প্রশাসনের। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জানান, ‘জেলা প্রশাসন থেকে রেড জোন বা কোনো ধরনের জোন ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার সুপ্রভাতকে বলেন, ‘জয়নগর এলকাকে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সকালে রেড জোনের ব্যানার লাগানো হয়। কিন্ত সরকারিভাবে কোনো জোন বিভাজন না করায় এসব ব্যানার অপসারণ করে উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ব্যানার লাগানো হয়।’