ডেস্ক রিপোর্ট »
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে হবে ১৮০ টাকা এবং পাম সুপার বিক্রি হবে ১৭২ টাকা লিটার দরে।
বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, নতুন দর শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপনকান্তি ঘোষ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যুদ্ধের কারণে ভোজ্যতেলের দাম অত্যাধিক মাত্রায় বেড়েছে। ফলে দাম সমন্বয় না করলে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে পারতো না। সে কারণেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন একটি দাম প্রস্তাব করে। সেটি নিয়মানুযায়ী দেখে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব নিয়মনীতি অনুসরণ করেই ভোজ্যতেলের নতুন দাম সমন্বয় করা হয়েছে।’
ঈদ সামনে রেখে সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট চলছিল। ঈদের পর বাজারে এমন সংকটের সময় নতুন করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন মিলমালিকেরা।
বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণে দুই মাস ধরে সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি কমে আসছিল। আবার ঈদের পর দাম বাড়ানো হবে—এমন ঘোষণায় বাজারে সয়াবিন ও পাম তেলের তীব্র সংকট তৈরি হয়। কারণ, দাম বাড়লে তাতে পুরোনো দামে কেনা সয়াবিন তেল বাড়তি দামে বিক্রি করা যাবে—এমন আশায় পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অনেকে তেল মজুত করে রেখেছেন।
আমদানির ঋণপত্র খোলার হার না বাড়ালে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। ভোজ্যতেলের সংকট কাটাতে এখন একমাত্র উপায় আমদানি বাড়ানো। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে। ভোজ্যতেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এমনটাই জানিয়েছেন।