‘বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে মাত্র, এতেই আওয়ামী লীগের নেতারা আবোল তাবোল বকতে শুরু করেছে। এখন তারা নিজেদের লোককে নিজেরাই চিনে না বলে বক্তব্য দিচ্ছে। কিছুদিন পর বলবে তারা শেখ হাসিনাকেও চিনে না। কারণ শেখ হাসিনা কয়েকদিন আগে বলেছেন, তার বাবার লাশ দুদিন পড়েছিল, কোনো নেতাকর্মী তখন কাছে যাননি, কাউকে পাননি। ঠিক কথাই বলেছেন, সত্য স্বীকার করেছেন শেখ হাসিনা। সামনের খারাপ পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনা কাউকে পাবে না। এমনকি তার নেতাকর্মীরাও শেখ হাসিনাকে চিনবেও না।’
বুধবার বিকালে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে চান্দগাঁও থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।
নগরীর বহদ্দারহাট হক মার্কেটের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে হয়ে পুরাতন চান্দগাঁও থানা হয়ে মৌলভী পুকুর পাড় হয়ে সিএন্ডবি রাস্তার মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা স্বীকার করেছে বিগত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের জয়ী করতে সব চেষ্টায় করা হয়েছে। ২০১৮ সালে নির্বাচনেও দিনের ভোট রাতে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে আবু সুফিয়ানের ভোট চুরি করেছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট জালিয়াতির বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। দেড় বছর হলো এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অবিলম্বে এই মামলার রায় দিতে হবে।
এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগের বিশ্বাস যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা তলানীতে এসে ঠেকেছে। দেশে বিদেশে কেউ তাদের বিশ্বাস করে না। তাদের কথা ও কাজে কোনও মিল নাই। তাদের দুর্নীতি, গণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের ফলে দেশ আজ মাফিয়া-বাজিগরদের কবলে। মানুষের জীবন আজ বিপন্ন। এই অবস্থা চলতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। কিন্তু ইভিএমে নির্বাচন এদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ইভিএমে নির্বাচনে করতে দেব না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।
চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মো. আজমের সভাপতিত্বে ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়ার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহম্মেদ খান, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর বিএনপি নেতা সৈয়দ সিহাব উদ্দিন আলম, মো. বখতেয়ার, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নুরুল আলম, আবদুল আজিজ, ইদ্রিছ মিয়া, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক হাসান লিটন, মাসুদুল কবির রানা, ফিরোজ খান, বিএনপি নেতা মো. ইস্কান্দার, হাজী নিজামুল ইসলাম, হাজী ইলিয়াছ শেকু, মসিউদ্দৌলাহ জাহাঙ্গীর, জসিম উদ্দিন, মো. আসলাম, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, নাছির উদ্দিন, হাজী আবুল বশর, হাজী আইয়ুব আলী, মাহবুবুল আলম, এস এম মোশারফ উদ্দিন, মো. জাবেদ, দিদারুল আলম হিরামন, জাফর আহম্মেদ, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি ম, হামিদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজী কামাল উদ্দিন, ইকবাল চৌধুরী, সালামত আলী, নুরুল আলম লিটন, মো. হোসেন, আকতার হোসেন, গুলজার হোসেন, মো. আলী শাকি, আরিফুল ইসলাম, মনছুর আলম, নুরুল আমিন, আবু বক্কর রাজু, সাইদুল ইসলাম, মোরশেদ কামাল, সাজিদ হাসান রনি, মো. শহিদুজ্জামান, আবদুর রহমান আলফাজ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি