সুপ্রভাত ডেস্ক »
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার রাতের ওই আয়োজনে নরেন্দ্র মোদি কয়েক গজ দূরে থাকলেও হেঁটে এসে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের কাছে যান। তারা একে অপরের খোঁজ-খবর নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন পরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই পারস্পরিক সৌহার্দ্যের কথা তুলে ধরেন।
বাসস জানিয়েছে, ব্রিকসের বর্তমান চেয়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার নৈশভোজের আয়োজনে অংশ নেন প্রতিবেশী দুই দেশের সরকারপ্রধান। বুধবার রাতে জোহানেসবার্গের গ্যালাঘের এস্টেটে এই আয়োজন করা হয়। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও ছিলেন সেখানে। খবর বিডিনিউজের।
মোদি ছাড়াও নৈশভোজে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। সেখানে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কুশল বিনিময় হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার জোহানেসবার্গে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর তাকে র্যাডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনের প্যালেস অফ রেসিডেন্সে মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে পঞ্চদশ ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট ব্রিকস সম্মেলন হচ্ছে।
সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২৬ অগাস্ট স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জোহানেসবার্গ থেকে ফিরতি যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ২৭ অগাস্ট সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।