প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৫ আগস্ট থেকে চলবে আন্তঃনগর ট্রেন। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মালবাহী ট্রেন চলাচল। শুরু হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি। আজ থেকে চলবে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন।
অনলাইনে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে সোমবার বিকাল ৫টা থেকে। গত রোববার বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোববার রেলভবনে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়। তাতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরের দিন ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ১৯ জুলাই সরকারের কারফিউ জারি করার পর থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১–৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছিল। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই ব্যাপারে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ১৫ আগস্ট থেকে সকল আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে মৌখিকভাবে শুনেছি। ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন এবং ১৩ আগস্ট থেকে লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। তবে এখনো কোনো লিখিত অফিস অর্ডার পাইনি। হয়তো রাতের মধ্যে অর্ডার পাবো।
রোববার রেল সচিব ড. হুমায়ুন সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করার পর ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসে। যেসব যাত্রী ১৮ জুলাইয়ের আগে টিকিট কিনেও যাত্রা করতে পারেননি, তারা সোমবার বিকেল থেকে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে ।
ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। এতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে জনজীবন। সে সঙ্গে সড়ক যোগাযোগও পুরোদমে চালু হওয়া উচিত। এ বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন আছে বটে। তবে এ ক্ষেত্রে জনগণেরও ইতিবাচক ভূমিকার দরকার। রেলওয়ে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর সম্পত্তিও সরকার তথা জনগণের। অন্যদিকে পরিবহন সেক্টর বেসরকারি হলেও সবকিছুই এদেশের গণমানুষের সম্পত্তি। এসব রক্ষা করা নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব। নিজেদের দেশকে ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের সম্পত্তিকেও আগলে রাখতে হবে।