নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া »
কক্সবাজারের পেকুয়ার আসহাবুল ইসলাম জিহাদ (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করলো চকরিয়ার একদল সন্ত্রাসী।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় চকরিয়া উপজেলাধীন মরংঘোনার পশ্চিমে বাঘগুজারা এলাকার নির্জন স্থানে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত জিহাদ পেকুয়া সদর ইউপির সিকদার পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য মকসুদুল করিম বাচ্চুর ছেলে ও কক্সবাজার সিটি কলেজের সামাজিক বিজ্ঞান অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, কিছু দিন আগে চকরিয়া উপজেলাধীন কোনাখালী চরাপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের পুত্র রুমান থেকে জিহাদ ৯ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে। পরে দেখা দেয় ওই মোবাইলটিতে নানা সমস্যা। তারপর জিহাদ ওই মোবাইলটি রুমানকে ফেরত দিয়ে দেয়। কিন্ত রুমান ওই টাকা ফেরত না দিয়ে আরেকটি মোবাইল ফোন এনে দিবে বলে জানায়। বেশকিছু দিন অতিবাহিত হলেও জিহাদকে মোবাইল ফোনও দেয়নি উল্টো টাকাও ফেরত দেয়নি। ঘটনার আগের দিন তাদের মধ্যে বাকবিত-া হয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে সন্ধ্যা ৭টায় কল করে জিহাদকে বাঘগুজারা ব্রিজে এসে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলে রুমান। জিহাদ তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বাঘগুজারা ব্রিজে পৌঁছালে আগে থেকে উৎপেতে থাকা চড়া পাড়ার আব্দুল হাকিমের পুত্র রুমান, রমিজ, বখতিয়ার, সাইফু, সালাহ উদ্দিন সহ ১০/১৫ জন মিলে জিহাদকে মরংঘোনা নির্জন বালুর স্তূপে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে লোকজন এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে জনতা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বকুল জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন সোহান নামের এক ইজিবাইক (টমটম) চালককে জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত বিষয়ে এ হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় জনতা সোহান নামের একজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।