চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, একজন শিক্ষার্থীর জীবনে নৈতিক শিক্ষার প্রভাব খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী না হয়, ভালো আর মন্দের পার্থক্য বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যৎ সুনাগরিক হিসেবে তৈরী হতে পারে সেজন্য নৈতিক শিক্ষা প্রদানের পথ প্রদর্শক হিসেবে শিক্ষকদের কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার সাথে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চ্চার ক্ষেত্র না রাখা গেলে উপর্যুক্ত শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।
গতকাল বুধবার সকালে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক গভর্নিং বডির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর লায়ন মো. ইলিয়াস, নুর মোস্তাফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, পাথরঘাটা সিটি কর্পোরেশন কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদুর রহমান চৌধুরী, কায়সার নিলুফার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, আয়ুব বিবি স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান, কাপাসগোলা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, হাজী আব্দুল আলী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলম হোসেন, গুলএজার বেগম স্কুলের শিক্ষক মো. সাইফুল্লাহ, হালিশহর মহবত আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমির হোসাইন, ফিরোজ শাহ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, পূর্ব বাকলিয়া স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা ইয়াছমিন প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা অনেক উপরে তাই এই পেশার মর্যাদার অক্ষন্ন রাখতে প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ফলাফলের দিক থেকে পাসের হার বেশি হলেও মানের দিক থেকে পিছিয়ে আছে। শিক্ষকরা যদি তাদের দায়িত্বের প্রতি অনুগত থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন তা হলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
শিক্ষকরাই পারে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করে সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। নগরবাসীর কাছ থেকে কর নিয়ে এই সেবা প্রদান করা হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বের বাহিরে তারপরও নগরবাসির মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে চসিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করে আসছে।
এই সেবা খাতে বছরে পঞ্চাশ কোটি টাকার ভূর্তুকি দিতে হয়। কারণ নগরবাসির সন্তানগণ যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়। তিনি চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালনা করে আগামী প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে তৈরী করার দায়িত্ব নেয়ার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি