নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদ্যুতিক ত্রুটি থাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জ্বলেনি রানওয়ের কোনো সিগন্যাল লাইট। গতকাল বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সকল ফ্লাইটের ওঠা নামা বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী ও তাদের নিতে আসা স্বজনরা। সিগন্যাল লাইটগুলো সচল হওয়ার পর ফ্লাইট ওঠানামা স্বাভাবিক হয়। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিগন্যাল শাখার কর্মকর্তা দিপঙ্কর চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে রানওয়ের কিছু লাইট বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে জ্বলেনি। এজন্য মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত ৮টা ২০মিনিট পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠা-নামা করেনি। ’
এ নিয়ে নভো এয়ারের বিপণন কর্মকর্তা প্রণিত বড়–য়া বলেন, ‘বিকেলে আমাদের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে আসে এবং চট্টগ্রাম থেকে রাতে ঢাকায় যায়। কিন্তু রানওয়ের লাইট না জ্বলার কারণে ঢাকা থেকে আসা আমাদের ফ্লাইটটি ল্যান্ড করতে পারেনি। ফলে যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছে।’
ভোগান্তির কথা জানিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসতে চাওয়া আনোয়ার তৌহিদ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য একটি ফ্লাইটের টিকেট কাটি। কিন্তু শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়ের লাইট নষ্ট হয়ে পড়েছে। তাই ঢাকা থেকে কোনো ফ্লাইট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একবার ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা বলেছে, আরেকবার ৪ ঘণ্টার কথা বলেছে। শেষ পর্যন্ত আমি ৫ ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার কথা শুনেছি। পরে আমিসহ অনেক প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটের টিকেট ক্যান্সেল করে ফিরে আসি।’
এ সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলীম আহমেদ বলেন, ‘বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে রানওয়ের লাইট জ্বলেনি। এ কারণে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বেশ অসুবিধা হয়েছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক। তবে এ সমস্যা মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ছিলো। পরে বিমানবন্দরের যান্ত্রিক শাখা সফলভাবে কাজটি শেষ করেছে। এখন ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে ওঠা-নামা করছে। যে শিডিউলগুলো বিলম্ব হয়েছে, সেগুলো ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ৯টি ডোমেস্টিক ও ২টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওঠা-নামা করে। মঙ্গলবার রানওয়ের সিগন্যাল লাইটের সমস্যার কারণে সবগুলো ফ্লাইট বিলম্ব করেছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটগুলো অবতরণ না করে পুনরায় ফিরে যেতে হয়েছে।