সাইফুল্লাহ কায়সার »
শান্তা মনি আজ নীল জামা পরেছে। দেখতে যেন আকাশের নীলপরী! মা-বাবার একমাত্র আদরের মেয়ে। সে পড়ছে প্রথম শ্রেণিতে। বাবার কাছে বায়না ধরেছে
“বাবা, আমি সমুদ্র সৈকতে যাবো।”
বাবা হাসলেন, “ঠিক আছে, এখনই সমুদ্র সৈকতে যাচ্ছি।” যেতে যেতে বাবা আকাশের দিকে দেখিয়ে বললেন,
“দেখো, বক সাদা মেঘ ছুটছে।”
শান্তা মনি চোখ বড় করে জিজ্ঞেস করলো
“মেঘ বুঝলাম, কিন্তু বক সাদা মানে কী?”
বাবা বললেন. “শরৎকালে আকাশ গাঢ় নীল হয়, মেঘ ধবধবে সাদা। দেখতে ঠিক যেন আকাশে সাদা বক উড়ছে। তাই বলে বক সাদা।”
শান্তা মনি মাথা নেড়ে বলল, “আহা! এখন বুঝেছি।”
সমুদ্রের ধারে পৌঁছে, শান্তা মনি দেখল বাতাসে সাদা ফুল দুলছে। দেখতে একদম মেঘের মতো। সে তাড়াতাড়ি বাবাকে জিজ্ঞেস করলো.
“বাবা, এগুলোও কি মেঘ?”
বাবা হেসে বললেন.
“না রে! এগুলো কাশফুল। এগুলো উড়তে পারে না। শরৎকালে ফোটে, হেমন্তকালেও দেখা যায়।”
কাশফুলের বনে কয়েকটা বক উড়ছিল। শান্তা মনির খুব ভালো লাগল। হঠাৎ সে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলো
“বাবা, সূর্যটা তো লাল বেলুনের মতো!”
আকাশ ভরে গেছে লাল আর গোলাপি আলোয়। দেখতে একদম ছবির মতো সুন্দর। সাগরের ঢেউ, পাখির ওড়া আর সূর্যের রঙিন আলো সব মিলিয়ে শান্তা মনি খুশিতে নাচতে লাগল।
বাবা ক্যামেরা হাতে নিলেন
“চলো, তোমার একটা ছবি তুলি।” শান্তা মনি দু’হাত মেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়াল। মা-বাবা মেয়েকে দেখে হাসিতে ভরে উঠলেন। তাদের মনও খুশিতে গান গাইতে লাগল।