সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার পর অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, তরুণ এই ছেলেটার ওপর কী তবে বোঝাটা বেশি চাপিয়ে দেয়া হলো? অনেকেই এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ এবং বিশ্বকাপেও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে তিনটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তিনি।
কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে শান্ত কতটা পরিণত হতে পারবেন, সেটা না হয় ভবিষ্যতই বলবে। তবে কতটা পরিপক্ক, তা সিলেট টেস্টেই দেখিযে দিয়েছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে যেভাবে দলকে পরিচালনা করেছেন এবং যেভাবে পারফরমার হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা সবাইকেই বিস্মিত করে দিয়েছেন। এই এক টেস্ট দিয়েই শান্তর মধ্যে ভবিষ্যতে লম্বা সময়ের জন্য নেতৃত্বের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন সবাই।
বিশেষ করে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি তো শান্তর নেতৃত্বে যারপরনাই মুগ্ধ, অভিভূত। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন কোচ।
হাথুরুসিংহের মতে, অধিনায়কত্ব এবং নেতৃত্ব দুটি আলাদা বিষয়। দুটি বিষয়েই দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন শান্ত। হাথুরু বলেন, ‘অধিনায়কত্ব আর নেতৃত্ব দুটো কিন্তু আলাদা বিষয়। অধিনায়কত্বটা সে দারুণ করেছে। ট্যাকটিক্যালি ম্যাচে সে সবসময় একধাপ এগিয়ে ছিল। অসাধারণ ফিল্ডিং সাজিয়েছিলো। কখনো সেটা ছিল আনঅর্থোডক্স; কিন্তু বেশ সফল ছিল।’
আর লিডারশিপ বা নেতৃত্ব সম্পর্কে হাথুরু বলেন, ‘নেতৃত্বের দিক থেকেও বেশ চমৎকার ছিল (শান্ত)। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সম্মানের সঙ্গে (সতীর্থদের) আদেশ দিয়েছে এবং সে হিসেবে তাদের কাছ থেকে মানসম্পন্ন পারফরম্যান্স আশাও করতে পেরেছিলো। বিষয়টা বেশ ভালো, আমার মনে হয় তার সামনে লম্বা একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সে অধিনায়ক থাকবে কি না, সে বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তাকে আমি অধিনায়কত্বের জোর দাবিদার হিসেবেই দেখছি।’