সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
সেই ২০০৩ সালে সাফে মালদ্বীপকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর পর থেকে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় অধরাই থেকে গেছে। অবশেষে ১৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচেছে তপু বর্মণের কল্যাণে। শ্রীলঙ্কার চারজাতি প্রতিযোগিতায় এমন জয়ে বাংলাদেশ দলে এখন উৎসবের আমেজ।
মূলত কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলাতেই বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে। রবিবার ডিফেন্ডার রহমত মিয়া ম্যাচপূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে সেকথাই বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দেওয়া ভিডিও বার্তায়, ‘প্রথম ম্যাচ খেলার পর দল একটু ক্লান্ত ছিল। তবে ম্যাচের আগে (মালদ্বীপ) নিজেরা বসেছি। সবাই মিলে ঠিক করেছি, এই ম্যাচে শতভাগের বেশি দিতে হবে। কমপ্যাক্ট করে খেলতে হবে। তাতেই ফল পেয়েছি। এখন আমরাও খুশি।’
২-১ গোলে জেতা ম্যাচে মালদ্বীপকে সেভাবে খেলতেই দেয়নি বাংলাদেশ। বরং প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভণ্ডুল করে প্রতি আক্রমণে খেলেছে। গোলও আদায় করে নিয়েছে সুযোগ মতো। রহমত মিয়া বলছিলেন, ‘ওরা উইথ দ্য বলে ভালো। চেষ্টা করেছি তাদের ব্লক করে অ্যাটাকে যেতে। তাতে সফল হয়েছি। এই টুর্নামেন্টে পয়েন্ট হারানোটা(সেশেলসের বিপক্ষে) কষ্টের বিষয়। প্রথম দিনে পয়েন্ট হারিয়ে হতাশ ছিলাম। অফিসিয়ালসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে। পেছনের সবকিছু ভুলে ম্যাচ খেলেছি।’
মালদ্বীপের ম্যাচে মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয়ের অভিষেক হয়েছে। অভিষেক দিনেই বাংলাদেশের জয় দেখেছেন। তাই ম্যাচ জিতে তার প্রতিক্রিয়া, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। অনেক বছর পর মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতেছি। সবাই একত্রিত হয়ে পরিবারের মতো খেললে ভালো কিছু হয়। সেটাই মাঠে দেখতে পাওয়া গেছে।’
জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপুর কাছে এই জয়টা অনেকটা প্রতিশোধের মতোই। তার মতে, ‘অল্প দিন আগে(সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে) তাদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছি। কালকে হয়তো এরই একটা প্রতিশোধ নেওয়ার মতো জায়গা তৈরি হয়েছে। সেই হার তাদের উদ্বেলিত করেছে। পরশু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে পারলে ফাইনালে খেলতে পারবো। এখন জেতার জন্য দল খেলবে।’