সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
১৬ জুন, ২০১৩। হোমটাউন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আউট হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার ক্রিজ ছেড়েছিলেন শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিং গ্রেটের সেই বিদায়ী মুহূর্তে আবেগঘন হয়ে পড়েছিল আসমুদ্র-হিমাচল। ক্রিকেট পাগল ভারতবাসীর মতোই শচীনকে শেষবার ক্রিজ ছাড়তে দেখে প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন বিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দুই ক্রিকেটার কার্ক এডওয়ার্ডস এবং ক্রিস গেইল।
ক্রীড়া সংবাদসংস্থা ক্রিকট্যাকারের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে লাইভ চ্যাট সেশনে সেকথা স্বীকার করে নিলেন খোদ এডওয়ার্ডস। জানালেন শচীন টেন্ডুলকারকে শেষবার আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে দেখে চোখের কোনে জল চলে এসেছিল। দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওয়াংখেড়েতে। মাত্র তিনদিনেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল ভারত। ম্যাচের প্রথম একাদশে এডওয়ার্ডস না থাকলেও টেন্ডুলকারের যেহেতু কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ ছিল ওটা, তাই তিনি ভীষণভাবে ডুবে ছিলেন ওই ম্যাচটিতে। জানিয়েছেন এডওয়ার্ডস।
লাইভ সেশনে প্রাক্তন ব্যাটিং অল-রাউন্ডার জানিয়েছেন, ‘শচীনের ২০০তম টেস্ট ম্যাচে আমি সেখানে ছিলাম। আমিও ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলাম গোটা বিষয়টাতে। আমি গেইলের পাশেই ছিলাম। দু’জনেরই প্রায় কেঁদে ফেলার উপক্রম তৈরি হয়েছিল। কোনক্রমে আমরা সেই কান্না আটকেছিলাম। খুব আবেগঘন মুহূর্ত ছিল ওটা। ওই মানুষটাকে আর ক্রিকেট মাঠে দেখতে পাবো না এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল আমার পক্ষে।’
শুধু তাই নয়। কেরিয়ারের শুরুতে তার খারাপ সময়ে টেন্ডুলকার কীভাবে তার পাশে দাড়িয়েছিলেন সেই ঘটনাও লাইভ সেশনে তুলে ধরেন কার্ক। প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার বলেন, ‘ইংল্যান্ড সফরে আমার তখন খারাপ ফর্ম চলছিল। মনে আছে এজবাস্টনে থাকাকালীন উনি আমায় একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। উনি আমায় আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন। বলেছিলেন এমন খারাপ সময় পার করেই জীবনের সেরা সময়ে পৌঁছতে হয়। কোনও ব্যাপার নয়। চেষ্টা চালিয়ে যাও।’
উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ২০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলে আজ থেকে সাত বছর আগে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহীরুহ। শেষ ম্যাচে শতরান না পেলেও শচীনের ব্যাট থেকে এসেছিল ঝকঝকে ৭৪ রানের ইনিংস। ২০০টি টেস্ট মাস্টার-ব্লাস্টারের সংগৃহীত রানসংখ্যা ১৫,৯৭১। কেরিয়ারে ১০০টি শতরানের মধ্যে শচীনের টেস্ট শতরানের সংখ্যা ৫১।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা