সুপ্রভাত ডেস্ক »
বাজারে লেবু কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত! লেবুর দাম আকাশছোঁয়া! ভাতের পাতে লেবু নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস চিরকালের। এখন সেই অভ্যাসেও বদল আনার কথা ভাবতে হচ্ছে। শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি মেটাতে অনেকেই ভরসা রাখেন লেবুতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে ও ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে ভিটামিন সি দারুণ উপকারী।
‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল বায়োকেমিস্ট্রি’-র অনুযায়ী, ক্যানসার, ‘অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস’, ডায়াবিটিস, ‘নিউরোডিজেনেরেটিভ ডিজিজ’-এর মতো নানা ব্যাধি থেকে সুরক্ষিত রাখতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি রাখা ভীষণ জরুরি।
তবে লেবু না খেলে শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি মিটবে কী করে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি দিন একজন মানুষের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন। দিনে ২০০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি খাওয়া নিরাপদ, তার বেশি নয়। একটি পাতিলেবুতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। তবে অন্যান্য অনেক খাবারে এর চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় এই ভিটামিন সি পাওয়া সম্ভব।
বাঁধাকপি: এক কাপ বাঁধাকপিতে প্রায় ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। ক্রুসিফেরাস-জাতীয় এই সব্জিতে ভিটামিন সি থাকে এমনটা হয়তো অনেকেরই ধারণার বাইরে। তবে শুধু এই কপি নয়, এই ঘরানার আরও অনেক সব্জিতেই ভিটামিন সি থাকে উচ্চমাত্রায়। যেমন, ফুলকপি, শালগম ইত্যাদি।
ছাড়াও এই ফলে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পাওয়া যায় যা বিভিন্ন দূরারোগ্য ব্যধিকে দূরে রাখে।
ব্রকোলি: এক কাপ ভর্তি ব্রকোলি কুচিতে থাকে ৮১.২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তবে বেশি ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরমে রাখলে তার পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। অর্থাৎ, কাঁচা ব্রকোলিতে যতটা ভিটামিন থাকে, রান্নার পর ততটা থাকে না। রান্না করার সময়ে খুব বেশি যেন ব্রকলি সেদ্ধ না করা হয় বা ভাজা না হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে।
সরিষা শাক: ১৯৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায় মাত্র এক কাপ সরিষা শাক থেকে। তাই খাদ্যতালিকায় এই শাক রাখতেই পারেন।
পাকা পেঁপে: একটি ছোট পাকা পেঁপেতে থাকে ৯৫.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। যদি হাড়ের ব্যথা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, তখন প্রাতরাশে রাখতে পারেন বেশ খানিকটা পাকা পেঁপে।
পেয়ারা: একটি বড় পেয়ারায় ৩৭৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। বাজারে সারা বছর ধরেই এই ফলের জোগান মেলে। শরীরে ভিটামিন সি-র ঘাটতি মেটাতে এই ফলের জুড়ি নেই।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা