সয়াবিন তেল
সুপ্রভাত ডেস্ক
সরকার উদ্যোগী হয়ে ভোজ্য তেলের দাম কমানোর ১৫ দিনের মাথায় আবার দাম বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন মিল মালিকরা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে গেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ওই আবেদনে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা করে বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান সমিতির সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লাহ।
তিনি রোববার বলেন, ‘ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তেলের আমদানি মূল্যে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তেল কিনতে এখন প্রতি ডলারের জন্য ১১০ টাকারও বেশি খরচ করতে হচ্ছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি বিবেচনায় দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।’
তবে বিশ্ব বাজারে এখন প্রতি টন অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের দাম ১৬০০ ডলারে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার মধ্যে বিশ্বে ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।
তিন মাস আগে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি টন ১৯০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। দেশের বাজারেও সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে প্রতি লিটার ২০০ টাকার উপরে উঠে যায়। বছরের প্রথম ভাগে যুদ্ধ শুরুর আগে-পরে বাংলাদেশেও কয়েক দফায় বাড়ানো হয় দাম।
তবে দাম কমে আসায় গত ১৭ জুলাই প্রতি লিটার তেলের দাম ১৪ টাকা করে কমানো হয়।
ফলে দেশে এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৬ টাকায় এবং পাম তেল ১৫২ টাকায়।
মিল মালিকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ.কে.এম আলী আহাদ খান বলেন, তিনি এখনও প্রস্তাবটি পাননি।
‘হয়তো তারা ট্যারিফ কমিশনে গিয়ে থাকতে পারে। এধরনের কোনো প্রস্তাব গেলে সেটা ট্যারিফ কমিশন হিসাব-নিকাশ করে দেখবে।’