নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের হলবনিয়া পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনজন রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪৯ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও কোস্টগার্ড বাহিনী। এ ঘটনায় ৪৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গা নারী, ৩৫ জন পুরুষ ও ৪ জন বাংলাদেশি।
এব্যাপারে বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ভেসে আসা তিন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় ৪৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ট্রলারডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা টেকনাফের হ্নীলা শালবন এলাকার বাসিন্দা রোজিনা আকতার বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছে। তার কাছে যাওয়ার জন্য অবৈধ পথে সাগর পাড়ি দিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও যাত্রা করে ব্যর্থ হয়েছিলাম। ট্রলারে আরও অনেক নারী ও শিশু ছিল। তাদের মরদেহ সাগরে ভাসতে দেখেছি।’
বাহারছড়া কোস্ট গার্ড স্টেশনের কনটিজেন্ট কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন জানান, গত ৩ অক্টোবর সোমবার রাতে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে কয়েকজন দালাল রোহিঙ্গাদের নিয়ে অবৈধভাবে সাগর দিয়ে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু বাহারছড়া উপকূলে এসে ট্রলারটি ডুবে যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি চারজন। তারা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। বাকিরা উখিয়া- টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের কয়েকজন জানান, মালয়েশিয়ার যাওয়ার উদ্দেশে রাতে ট্রলারে ওঠেন তারা। ট্রলারে প্রায় ৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৫ জন রোহিঙ্গা।