নিজস্ব প্রতিবেদক »
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, নান্দনিক লবি, সবুজের সমারোহ এবং সুইমিং পুল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত লাক্সারি ফ্ল্যাট দিচ্ছে জুমাইরা হোল্ডিংস। দুই দশক ধরে আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত এ প্রতিষ্ঠানটি নগরীতে গুলশানের ফ্ল্যাটের স্বাদ দিচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্মিত এবং আগামীতে নির্মাণ হতে যাওয়া বিভিন্ন প্রকল্পে এমনই নকশা দেখা যাচ্ছে।
নগরীর আমিরবাগ আবাসিক এলাকার তিন নম্বর রোডে ‘মে ফ্লাওয়ার’সহ নগরীর ও আর নিজাম রোড, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, হিলভিউ হাউজিং সোসাইটি, খুলশিসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট ভবন নির্মাণে জুমাইরাহ অনন্য।
ভবন নির্মাণে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইন, গুণগত মানসম্পন্ন নির্মাণ উপকরণ এবং লাক্সারিয়াস আইটেম ব্যবহারে ভবন নির্মাণে এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আমরা মানুষকে পছন্দের সবচেয়ে সেরাটা দিতে চাই। ভবন নির্মাণে এবং ভবন সাজাতে সবচেয়ে ভালো আইটেমকে বেছে নিই। এতে ফ্ল্যাট ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ পায়।’
কিন্তু এতো ভালো নির্মাণ উপকরণ ও ভবন সাজাতে ভালো আইটেম দিতে গেলে ফ্ল্যাটের মূল্যতো বেড়ে যাবে। কিন্তু এতো দাম দিয়ে কি মানুষ ফ্ল্যাট কিনবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি ফ্ল্যাটে সুইমিং পুল রয়েছে। এ ছাড়া নামাজের জন্য পৃথক স্পেস, লাইব্রেরি, বয়স্কদের জন্য পৃথক স্পেস, কমিউনিটি হল, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক জিমের ব্যবস্থা ও শিশুদের খেলার জন্য কিডস জোনসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এমনকি আধুনিক লন্ড্রি সুবিধাও রাখা হয়েছে ফ্ল্যাটের বসবাসকারীদের জন্য।’
তিনি আরো বলেন, একদিকে আধুনিক উপকরণ ও অপরদিকে বসবাসকারীদের সুযোগ-সুবিধা সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে লাক্সারি অ্যাপার্টমেন্ট দিচ্ছে জুমাইরাহ। প্রাইম লোকেশন এবং নান্দনিক নির্মাণশৈলি জুমাইরা’র ভবনকে অন্য যেকোনো ভবন থেকে পৃথক মনে হতে বাধ্য।
কিন্তু এতে তো বর্গফুট প্রতি ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাবে। এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘পছন্দসই ফ্ল্যাট হলে মূল্য কোনো বিষয় নয়। এ শহরেও আমরা লাক্সারি অ্যাপার্টমেন্ট প্রতি বর্গফুট ১১ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছি। এ শহরেই আমরা নগরবাসীকে গুলশানের ফ্ল্যাটের স্বাদ দিচ্ছি।’
একসময় ডেভেলপাররা ৫ থেকে ৭ কাঠায় প্রকল্প গ্রহণ করতো, কিন্তু এখন ১০ কাঠার কমের আয়তনের ভূমিতে কোনো প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না- এর কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বর্তমানে ফ্ল্যাটের কনসেপ্ট বদলে গেছে। ফ্ল্যাট মানে শুধু ঘর নয়। ফ্ল্যাট মানে হলো একটি পরিবার বসবাস করার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই থাকতে হবে কম্পাউন্ডের মধ্যে। আর তা করতে গিয়ে জায়গার পরিমাণ বাড়াতে হয়। কম জায়গায় সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া সম্ভব হয় না।
আবাসন ব্যবসায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এমন একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় ফ্ল্যাট মানে ছিলো একটি বাসা। কিন্তু বর্তমানে একটি ফ্ল্যাটে নাগরিকদের আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা থাকতে হয়। এমনকি হ্যালিপ্যাডও যুক্ত করা হচ্ছে।
এদিকে জুমাইরা প্রকল্পগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন ও বিপণনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জুমাইরা আগামীতে আরো লাক্সারিয়াস প্রকল্প নিয়ে আসছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে এসব লাক্সারিয়াস অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প স্বাভাবিকভাবে মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্টকর হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের ঋণ সুবিধাসহ নানাবিধ আর্থিক অফার (রেজিস্ট্রেশন ফি, ব্যাংক ঋণে সুদের হার) এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জুমাইরা গড়ে উঠার পর থেকে আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে নগরীতে প্রায় শীর্ষে রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের প্রকল্পের সংখ্যাও বেশি। নির্ধারিত সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষিত। আর এতে প্রতিষ্ঠানটির উপর মানুষের আস্থাও বেড়েছে কয়েকগুণ।