চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীরা হলেন অবরুদ্ধ মানুষের কাছের স্বজন ও ভালো বন্ধু। এজন্য তাদের জানতে হবে, শিখতে হবে কীভাবে মানুষের মন জয় করে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করে করোনা সংক্রমণ মুক্ত থাকা যায়। মনে রাখতে হবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আচরণ ও অভ্যাসগত নেতিবাচক প্রবণতা পরিহার এবং প্রচলিত বেপরোয়া জীবনাচারের পরিবর্তন না হলে কাক্সিক্ষত মুক্তি সুদূর পরাহত- এই বার্তাটি স্বেচ্ছাসেবকদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তবে লকডাউন কোথায় কিভাবে-কখন হবে এবং সংক্রমেণের হার প্রবণ এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে শুধু সেখানে তা প্রয়োগ করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পজেটিভ ক্যাম্পেইন পাওয়ার হিসেবে অবিহিত করে বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। আমাদেরও ছিল না। তাই পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে সে সম্পর্কে ধারাণাও ছিল না। শুরুতেই কোন কোন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ও সমন্বয়হীনতা ছিল। এসব নিয়ে সমালোচনা থাকতে পারে, তবে পরামর্শও থাকতে হবে। তাই কখন-কোথায়-কী ভুল হয়েছে, কেন হয়েছে সে কথা বার বার না লিখে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়, কী করা যায় সেই পরামর্শ ও পথ বাতলে দিলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।
আজ ২৪ জুন (বুধবার) দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত রেড জোন ভিত্তিক এলাকার ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকদের কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, কর্মশালার আইইডিসিআর’র প্রশিক্ষক ডা. মোহাম্মদ ওমর কাইয়ুম, ডা. তৌহিদুল আনোয়ার খান, ডা. তাহমিনা করীম, ডা, হায়দার, ডা.নাবিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর