ফজলে এলাহী, রাঙামাটি »
রাঙামাটির লংগদুতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ দুইজন নিহতর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে উপজেলার কাট্টলীর ধনপুতি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন (তিলক (৪৯),স্থানীয় ধন্যমনি চাকমা (৩২)। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা শুনেছি সন্তু লারমা জেএসএস কর্তৃক এক ইউপিডিএফ কর্মী ও স্থানীয় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় সেটা সময়সাপেক্ষ।
অন্যদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের মুখপাত্র নিরন চাকমা সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির জেলা সংগঠক সচল চাকমা জানান, সন্তু লারমা আবারো তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন।পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।
বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং খুনী সন্ত্রাসীদের মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেফতারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এর পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।
নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমার পিতার নাম সময় মনি চাকমা, গ্রাম- কুকিছড়া, কাট্টলী, লংগদু, রাঙামাটি এবং সমর্থক ধন্য মনি চাকমার পিতার নাম লেংগ্যা চাকমা, গ্রাম- ধুধুকছড়া, বড় হাড়িকাবা, লংগদু, রাঙামাটি।
উক্ত হামলায় নেতৃত্ব দেন পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২), পিতা লক্ষ্মী মনি চাকমা। তার বাড়ি বড় হাড়িকাবার পাশে কুট্টছড়ি গ্রামে।