নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসাসহ ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকা- নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তারা মারাত্মক উদ্বেগের মধ্যে দিনযাপন করছেন। ক্যাম্পের এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তারা কোনমতেই দেখতে চান না। তারা চান ক্যাম্পের পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
সূত্র জানায়, চলতি মার্চ মাসেই উখিয়ায় ক্যাম্পে চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের আড়াই মােেস ১৪ জন খুন হয়েছেন।
সর্বশেষ, বুধবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মোহাম্মদ রশিদ (৩৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক খুন হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ রশিদ বালুখালী ৮ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, এনজিও অফিসে রাতে ডিউটি করে নিজ শেডে ফেরার সময় রশিদকে গুলি করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার (৮ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডব্লিউ ব্লকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সৈয়দ হোসেন ওরফে কালা বদা (৩৭) নামের আরও এক রোহিঙ্গা নেতাকে খুন করা হয়। মারা যাওয়া রোহিঙ্গার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বাড়িতে একদল মুখোশধারী হামলা চালায়। এসময় সৈয়দ হোসনকে বাড়িতে পেয়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর অবস্থায় সৈয়দ হোসেনকে ক্যাম্পের এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সম্প্রতি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। এতে করে আতঙ্ক বাড়ছে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের মধ্যে। এর মধ্যেই কয়েকদিন আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে আড়াই হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের রির্পোট পেশ করেছেন।