নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এর সাথে বাড়ছে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চাপ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এতদিন ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড ছিলো না। মেডিসিন বিভাগে এসব রোগীর সেবা দেওয়া হতো। এতে অন্য রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকতো। এবার ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ৫০ শয্যার ওর্য়াড করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এম এ সাত্তার। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর পূর্ণ মৌসুম চলছে। প্রতিবছর এই সময় রোগী বাড়ে। বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকছে হাসপাতালে। আগস্টে রোগী আরও বাড়তে পারে। হাসপাতালে এতদিন ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড না থাকায় মেডিসেন বিভাগের ওর্য়াডগুলোতে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হতো। এ কারণে ওই ওর্য়াডের বিরাট একটা অংশ ঝুঁকিতে থাকত। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ৫০ শয্যার একটি আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হচ্ছে। হাসপাতালের নতুন ভবনের ৮ম তলায় কার্ডিওয়াক বিভাগের পেছনে এ ওর্য়াড করা হবে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের সেখানে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু হাসপাতাল নির্ভর হলেই হবে না। সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে হবে। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি টাঙাতে হবে। বাসার ছাদ-টবে পানি জমাতে দেওয়া যাবে না। ঘরের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. শামীম আহসান বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে এ ওর্য়াড করা হচ্ছে। সেখানে ৫০ উপরে শয্যা থাকবে। বর্তমানে বেডের কাজ চলছে। দ্রুতই কাজ শেষ হবে। কয়েকদিনের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন করে রোগীর সেবা শুরু হবে।’
এদিকে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ১০০ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগী। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭৭ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২২ জন, মার্চে ১২ জন, এপ্রিলে ১৮, মে মাসে ৫৩, জুনে ২৮৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যা জুলাইয়ে বেশি। শুধু এ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩১১ জন এবং ১ হাজার ৯৪৪ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়ছে। তারমধ্যে ১৪ জনই শিশু। বাকিদের মধ্যে পুরুষ ছয় ও নারী পাঁচজন রয়েছেন।