সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উত্তর প্রদেশের রায়বেরিলি আসন ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। ছেড়ে দিচ্ছেন কেরালার ওয়েনাড আসন। সেখান থেকে লোকসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন রাহুলের বোনা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
অবশেষে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী! রাহুল গান্ধীর ছেড়ে আসা ওয়েনাড আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সোনিয়াকন্যা। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে নিয়ে এই ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। চব্বিশের লোকসভা ভোটে গান্ধী রায়বেরিলি ও নিজের কেন্দ্র ওয়েনাড – দুটি আসন থেকেই বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন রাহুল গান্ধী। একটি আসন তাঁকে ছাড়তেই হতো। রায়বেরিলি রেখে ওয়েনাড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে আসা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এখান থেকেই শুরু তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার।
সংসদীয় রাজনীতিতে সোনিয়াকন্যার আগমন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জল্পনা-কল্পনা চলেছে। বিশেষত বড় কোনও নির্বাচনের মুখে ভেসে ওঠে তাঁর নাম। এতদিন দলীয় অভ্যন্তরীণ বৈঠক, প্রচারে সক্রিয় থাকলেও সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে প্রিয়াঙ্কা এই প্রথম। দাদার ছেড়ে আসা ওয়েনাড আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
সোমবার বৈঠকে এই ঘোষণার পর রাহুল বলেন, ‘রায়বেরিলি, ওয়েনাড আমায় যে ভালবাসা দিয়েছে, সারাজীবন মনে রাখব। প্রিয়াঙ্কা ওয়েনাড থেকে নির্বাচনে লড়বে। তবে আমি মাঝেমধ্যেই যাব। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পূরণ করা হবে। কোন কেন্দ্র রাখবো, তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন ছিল আমার কাছে। পদে না থাকলেও ওয়েনাডের সঙ্গেই থাকব। আপনারা ভাববেন, এখন থেকে আপনাদের দু’জন সাংসদ। প্রিয়াঙ্কা জিতবেই, আমি আশাবাদী। সঙ্গে আমিও থাকব।’ আর প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, ‘ওয়েনাডকে রাহুলের না থাকা বুঝতেই দেব না। ভাই যেমন বলল, ওয়েনাডে ও থাকবে, আমিও তেমন রায়বেরিলির লোকদের সঙ্গে থাকব।’ এর পর রাহুল মজার ছলে বলেন, ”তাহলে এবার থেকে ওয়েনাড, রায়বেরিলি – দু জায়গাতেই দুজন করে সাংসদ থাকবে।’
রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত।