নিজস্ব প্রতিবেদক »
রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ক্লাবে ‘রাবার শিল্পের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা এবং ইফতার মাহফিলে’ তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরও বলেন, রাবার বাগান করতে গিয়ে আমাকে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়েছে সে পরিমাণ সুখ আসেনি। রাবার শিল্প সরকারের নীতি সহায়তা থেকে বঞ্চিত। যেসব দেশে রাবারশিল্পে সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে রাবারশিল্প উন্নতি লাভ করছে।
তিনি আরও বলেন, রাবারের বিভিন্ন দ্রব্যের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও রবার খাত বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। খাতটিকে এখনো ইন্ডাস্ট্রি (শিল্প খাত) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া অবৈধ দখলসহ রাবারশিল্প বিভিন্ন হুমকিতে রয়েছে। বিশ্বে রাবারকে সাদা সোনা বলা হয়। বিভিন্ন দেশ রাবারকে কৃষিপণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশেও তা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব বলেন, রাবারশিল্পে সংকট নিরসনে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। রাবার প্রক্রিয়াজাতের জন্য বিভিন্ন দেশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দেশে এখনো মান্ধাতা আমলের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে। এতে মানসম্মত রাবার পাওয়া যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান বলেন, রাবার উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা প্রাকৃতিক রাবারকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। রাবার বাগানের চাষ করে আমাদের দেশে উন্নয়ন হোক, দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ুক এবং এতে করে কিছু মানুষের কর্মস্থানও হচ্ছে।
তিনি বলেন, এক সময় রাবার কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে বিএফআইডিসি শিল্প ইউনিটগুলোতে ট্রিটমেন্ট ও সিজনিং করে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের আসবাবপত্র, যেমন সোফাসেট, খাট, দরজা-জানালা, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি তৈরি করে দেশে বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পদুয়া সুখবিলাস ফিসারিজ অ্যান্ড প্লান্টেশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত এরশাদ মাহমুদ, পিএইচপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন চৌধুরী, সংগঠনের মহাসচিব মইনুল ইসলাম ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ ভুলু প্রমুখ।