শান্তি রঞ্জন চাকমা, রাঙ্গুনিয়া »
রাঙ্গুনিয়ায় চলতি আমনের ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। ভরা বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় হাজার হাজার কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখনও শত শত একর জমিতে চাষাবাদ করা সম্ভব হয়নি বলে কৃষকরা জানান। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা এই মৌসুমে রোপা-আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে। কিন্তু সেই অনুপাতে বৃষ্টি না হওয়ায় শস্যভা-ার নামে খ্যাত গুমাইবিলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। শত শত একর জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। শস্যভা-ার গুমাইবিলের আমন চাষিরা শঙ্কায় রয়েছেন তীব্র খরার কারণে।
কৃষকরা জানান, উপজেলার শস্যভা-ার নামে খ্যাত গুমাইবিলে চারদিকে রোপা আমন হলুদ বিবর্ণ রঙ ধারণ করেছে। পানির অভাবে রোপা আমন দুর্বল হয়ে পড়েছে।
চন্দ্রঘোনার গুমাইবিল ব্লকের কৃষক নুরু, ফোরকানসহ কয়েকজন কৃষক জানান, গত সোম ও মঙ্গলবার দুদিনের বৃষ্টিতে রোপা আমনের চাষাবাদে করতে সুবিধা হয়েছে। এর আগে পানির অভাবে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
মরিয়মনগর গুমাইবিল ব্লকের কৃষকরা জানান, আমন চাষাবাদের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাত না থাকায় সব জমিতে আমনের চাষাবাদ সম্ভব হয়নি। প্রচ- তাপদাহ, তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টিতে জনজীবন যেমন অতিষ্ঠ তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে জীব-বৈচিত্র্যসহ ফসলের চাষাবাদ।
গুমাইবিলের কৃষক ফরিদ জানান, বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতেও বাঁচানো যাচ্ছে না ফসল। পানির অভাবে ধানগাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
কৃষক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় মোট ১৪ হাজার ৭৮ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। জমিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সম্পূরক সেচ দেওয়ার জন্য। তীব্র খরায় যে সব জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে পাম্প মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিতে বলা হয়েছে। এ বছর আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর।