সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশে। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, মাদক ও মামলার কারণে এখন সবখানেই আলোচ্য বিষয় তিনি।
আলোচনা-সমালোচনায় ব্যক্তিগত জীবনে চরম দুঃসময়ে থাকলেও কমেনি তার অনুসারী। বরং বলা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এর সংখ্যা এখন আকাশমুখী।
দুটি ঘটনায় গত দুই মাসে তার ফলোয়ার বেড়েছে তিন মিলিয়ন। একটি ছিল ১৩ জুন ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে স্ট্যাটাস ও সংবাদ সম্মেলন এবং অপরটি হলো ৪ আগস্ট পরী র্যাবের হাতে আটক হওয়ার আগে তার করা ফেসবুক লাইভ।
জুনে তার ফলোয়ার ছিল ১ কোটি ১৭ লাখ। আর এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখে! অর্থাৎ মাঝের এক মাসে পরীর পেজে লাইক বেড়েছে ২০ লাখ প্রায়। যা দেশের যেকোনও তারকাশিল্পীর মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ১৩ জুন পরীমণি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মা সম্বোধন করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করেছিল। এ বিষয়ে তিনি চার দিন আগে বনানী থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলেও থানা পুলিশ তা নেয়নি। এজন্য তিনি বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরীমণির এই স্ট্যাটাস নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বেশিরভাগ মানুষ তার সমর্থনে পোস্ট দিতে থাকেন। শেয়ার দিতে থাকেন তার স্ট্যাটাসটি।
রাতেই সাংবাদিকরা ঘটনার বিস্তারিত জানতে তার বনানীর বাসায় যান। সেখানে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, একটি মিটিংয়ে তিনি চার দিন আগে বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন। সেখানে নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ ও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ইস্যুতে মূলত ত্বরিতগতিতে বাড়তে থাকে তার ফলোয়ার।
এরপর ৪ আগস্ট বিকালে পরীমণি হঠাৎ লাইভে আসেন। এদিন বিকাল ঠিক ৪টায় লাইভে এসেই তিনি বলা শুরু করেন, ‘বনানী থানা, আমাদের প্রশাসনের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের বাসায় সিভিলে কারা যেন এসে নিচের গেট ভাঙাভাঙি করে ওপরে চলে এসেছে। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম কোন থানা থেকে এসেছেন, প্রশাসনের লোক কিনা, তারা কিছু বলতে পারছে না। কিছু তো বলছেই না, বাজে ব্যবহার করছে, তার ওপর গেট… আমার মনে হচ্ছে এরা ডাকাত।’
তিনি বলেন, ‘কারও কোনও পোশাক নেই, একেকজনের একেক রকমের চেহারা। প্লিজ আপনারা যে যেভাবে পারেন আমাকে একটু হেল্প করেন। আমি ঘুমাচ্ছিলাম, নিচে থেকে গেট ভাঙচুর করে, বাসার মেইন গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। আচ্ছা পুলিশরা কেউ শুনছে না, মরে গেলে আসবেন, এরা ডাকাত হলে…।’
এমন বক্তব্য ও পরীর উৎকণ্ঠামাখা চেহারা মুহূর্তে অগ্নিফুলকির মতো ছড়িয়ে পড়ে। সেই লাইভেই যুক্ত হন তিন লাখের মতো মানুষ। যার ভিউ হয় ৩৮ মিলিয়ন।
সব মিলিয়ে পরীমণি ফলোয়ারের তালিকায় এখন শীর্ষে অবস্থান করছেন।