সুপ্রভাত ডেস্ক »
কুমিল্লার হাসানপুরে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে রোববার রাত ও সোমবার চট্টগ্রাম থেকে চারটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়েছে; ঈদযাত্রার প্রথম দিনই যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। ঈদের জন্য রেলওয়ে যে আগাম টিকেট বিক্রি করেছিল, তার প্রথম দিনের যাত্রা ছিল সেমবার। এদিন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়েছে। ঢাকামুখী সোনার বাংলা নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পরও ছেড়ে যায়নি।আর রোববার রাতে তূর্ণা এক্সপ্রেস ছেড়েছে আড়াই ঘণ্টা দেরিতে, রাত দেড়টায়।
রোববার সন্ধ্যায় কুমিল্লার হাসানপুর স্টেশনে একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। তাতে ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। আহত হন অন্তত পঞ্চাশ যাত্রী।
ওই দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও চাঁদপুরের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
রোববার রাতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই ট্রেন ছাড়ে রাত দেড়টায়।
কুমিল্লায় দুর্ঘটনায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, অর্ধশত ট্রেনযাত্রী আহত তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী শিবলী বিশ্বাস বলেন, রেলের লোকজন বারবার বলেছে একটু পরই ট্রেন ছাড়বে। তীব্র গরমে বসে যাত্রীরা ঘামছে, গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন ছেড়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় তূর্ণা এক্সপ্রেস ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছায় বলে জানান যাত্রীরা। সোমবার ঈদ যাত্রার প্রথমদিন বিপর্যয় আরো বাড়ে। তবে এদিন স্টেশনে তেমন ভিড় ছিল না।
সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু দেড় ঘণ্টা দেরিতে ৮টা ৫০ মিনিটে এই ট্রেন যাত্রী নিয়ে স্টেশন ছাড়ে। আর ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টার পরিবর্তে স্টেশন ছাড়ে সকাল পৌনে ১০টায়। এদিকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এবং সবশেষ ৮টায় ট্রেনটির যাত্রার সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা যেতে দুটি টিকেট কেনা মোহাম্মদ ফারুক নামের এক যাত্রী বলেন, রাতের বাসে ঢাকা থেকে বেনাপোল যাওয়ার কথা। সোনার বাংলা ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেনি। টিকেটও ফেরত নিচ্ছে না। বারবার অনুরোধ করার পরেও স্টেশনের লোকজন বলছে- ট্রেন ছাড়বে, তাই টিকেট ফেরত নেওয়া হবে না। এখন ঢাকা থেকে বাস ধরতে হবে বলে চট্টগ্রাম থেকে বাসের টিকেট কিনে ঢাকা যাচ্ছি। টাকা ও সময় নষ্ট হল, দুদিকেই লস। খবর বিডিনিউজ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, সোনার বাংলা ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। রাত ৮টায় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সকালে পাহাড়িকা দেরিতে এসে পৌঁছানোয় ছাড়তে দেরি হয়েছে। আর বিজয় এক্সপ্রেস পরিষ্কার করতে সময় লাগায় দেরিতে ছেড়েছে। অন্য ট্রেনগুলো সময়মত ছেড়ে গেছে। যাত্রী ভোগান্তি ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশ্ন করার আগেই তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দিনে ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়।