নিজস্ব প্রতিবেদক :
অভিযান, জরিমানা, পাহাড়ধস ও কারাদ-েও থেমে নেই জিইসি মোড়ের ম্যানোলা হিলে পাহাড় কর্তন। রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত হাতেনাতে পাহাড় কর্তনের সাথে জড়িত থাকায় ম্যানোলা হিলের কেয়ারটেকারকে তিন দিনের কারাদ- দিয়েছে। এর আগে পাহাড় ধসে শিল্পকলা একাডেমির ভবন ভেঙ্গে জরিমানা গুনেছিল ম্যানোলা হিল। এছাড়া পাহাড় কেটে দোকান নির্মাণের দায়ে জরিমানা গুনেছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এবং অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণের দায়ে এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ম্যানোলা হিল মালিকের বিরুদ্ধে ।
জিইসি মোড়ের পাশের গরীবুল্লাহ মাজার গেইটের বিপরীত পাশে এবং পেনিনসুলা হোটেলের পাশের বিশাল পাহাড়টি দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে কাটা হচ্ছিল। পাহাড় কেটে অনেকগুলো দোকান নির্মাণ করা হয়। এসব দোকান কয়েকদফায় উচ্ছেদের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) উদ্যোগ নিলেও অর্ধসমাপ্ত রেখেই শেষ করতে হয়েছে অভিযান। পরবর্তীতে পাহাড়ের পেছনের দিকে শিল্পকলা একাডেমি রোডের দিকে পাহাড়ের পাদদেশে নির্মাণ করা হয় রেস্টুরেন্ট। সম্প্রতি সিডিএ এভিনিউ সড়কের দিকে চলছিল পাহাড় কাটা। রোববার এমনই পাহাড় কাটা অবস্থায় ধরা পড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে। কেয়ারটেকার জহির উদ্দিন আহমেদ পাহাড় কেটে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ করছিল বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট শাহরীন ফেরদৌসি।
পাহাড় কর্তনের দায়ে কেয়ারটেকার জহির উদ্দিনকে তিনদিনের কারাদ- দেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট শাহরীন ফেরদৌসি। একইসাথে পাহাড়ের মালিক নুরুল আজিমকে শুনানির জন্য ১৪ জুলাই পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পাহাড় কাটা। পাহাড় কাটা কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ