নিজস্ব প্রতিবেদক »
শেরশাহ কলোনি এলাকায় ঠিকাদারের মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে পাঁচটি মোটরসাইকেল।
গতকাল শুক্রবার বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনি ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার শেরশাহ কলোনিতে ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বাসার নিচে মোটরসাইকেল রেখে ইফতার করতে উঠেন। এসময় শোরগোল শুনে নিচে নেমে দেখেন তার ব্যবহারের মোটরসাইকেল ও এক যুবক মাটিতে লুটে আছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মো. সাকিব নামে একজনকে আটক করে।’
এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে ও সাকিবের দেওয়া তথ্য মতে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নগর ও সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।’
গ্রেফতার চোর চক্রের সদস্যরা হলো, মো. সাকিব (২০), মো. সোহেল (২৯), জাহিদুল ইসলাম ফয়সাল (২২), মো. পারভেজ (২২) ও মো. ইসমাইল হোসেন রাব্বী (২২)।
জানা গেছে, মো. সাকিব, মো. মিরাজ ও আজাদ এরা তিনজন মোটরসাইকেল চোর। চোরাই মোটরসাইকেল মো. সোহেলের কাছে গচ্ছিত রাখতেন। এসব চোরাই মোটরসাইকেল ডিলার জাহিদুল ইসলাম ফয়সালের কাছে হস্তান্তর করতেন সোহেল। ফয়সাল চোরাই মোটরসাইকেল পাইকারী দামে বিক্রয় করতেন পারভেজ, কামরুল, ইসমাইল হোসের রাব্বী ও সাকিবের কাছে। মূলত তারাই মোটরসাইকেলের রূপ পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রয় করতেন। বিক্রয়ের আগে চোরাই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রং পরিবর্তন করে নিতেন।
চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, চোর চক্রের সদস্যরা পেশাদার ও সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর।’