সুপ্রভাত ডেস্ক :
মেয়াদ শেষের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে চায় ডেমোক্র্যাটরা। এমনকি ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যও ডেমোক্র্যাটদের এমন উদ্যোগে সমর্থন দিতে পারেন। বুধবার কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে বিষয়টি। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু বুধবার ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর তার আগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ওই দিন ক্যাপিটলে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে ওই ঘটনায়। ট্রাম্পের উস্কানিতেই এই হামলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই ঘটনার পরেই ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যরা আলোচনায় বসেন। ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল পেন্সও।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন সংসদের ২৫তম সংশোধনী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই সংশোধনী অনুযায়ী কোনও প্রেসিডেন্ট ‘দায়িত্ব পালনে অক্ষম’ হলে মেয়াদ শেষের আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়া যায়। তবে তার জন্য ভাইস প্রেসিডেনন্টের নেতৃত্বে ভোটাভুটি প্রয়োজন হয়।
জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকেও একই দাবি তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলছেন, ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
কংগ্রেসর আইন বিষয়ক কমিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পকে সরাতে পদক্ষেপ করতে বলেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটররা। চিঠিতে তারা লিখেছেন, হামলা চালিয়ে ‘গণতন্ত্রের অবমাননা’ করেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
রাজনৈতিক এমন প্রক্রিয়ার বাইরেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশও ট্রাম্পের উপর ক্ষুব্ধ। তাতে সামিল অনেক জনপ্রতিনিধিও।
প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্যাথলিন রাইস টুইটারে লিখেছেন, ক্যাপিটলের উপর দেশীয় সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প)। গণতন্ত্রের পক্ষে উনি বিপজ্জনক। অবিলম্বে তাকে পদ থেকে সরানো দরকার। মন্ত্রিসভার উচিত ২৫ নম্বর সংশোধনী কার্যকর করা।