শপথ নিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত

মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেনকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। রবিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘শপথ নেওয়া নতুন মেয়রের প্রতি চট্টগ্রামের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। একটি আধুনিক চট্টগ্রাম গঠনে নতুন মেয়র কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশা। চট্টগ্রামে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্যের একটি করে দেওয়া হয়েছে, যারা মেয়রের নেতৃত্বে কাজ করবেন।’ আইন অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়রের মেয়াদ ঠিক হবে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকার গঠিত হয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এই সরকার গঠিত হয়নি। তাই এই সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেশি।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার (২ নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ১০ জন মারা গেছে। এটা উদ্বেগের। কীভাবে ডেঙ্গু আরও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ নিয়ে কাজ করবে মন্ত্রণালয়।’

ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী জানান, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতা, মেয়রের আত্মীয়-স্বজনসহ ২৭ জন অতিথি যোগ দেন।

শপথগ্রহণ শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নতুন মেয়র। এরপর তিনি  রাজধানীর পুরান পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জোনাকি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মেজবানে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের করা মামলায় গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায়  দেন। একইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবকে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওই নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পাওয়ায় নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুসারে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। এরপর ভোটে কারচুপির অভিযোগে মামলা করেন ডা. শাহাদাত। সে মামলায় গত ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন শাহাদাত হোসেনকে জয়ী  ঘোষণা করে রাতে গেজেট প্রকাশ করা হয়।