ফজলে এলাহী, রাঙামাটি :
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তা থেকে মুক্তি মেলেনি পার্বত্য জনপদ রাঙামাটির পর্যটনও। তবে ধীরলয়ে স্বাভাবিক হয়ে আসছে এই জেলার পর্যটন খাত। টানা পাঁচমাস বন্ধ থাকার পর গতমাস থেকে চালু হওয়া জেলা শহরের সব পর্যটন স্পট এবং হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোতে বাড়ছে ট্যুরিস্টের সংখ্যা।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, পর্যটকের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে। প্রতিদিনই এই সংখ্যাটি ক্রমাগত বৃদ্ধির চিত্রই দেখছি আমরা। আশা করছি,সামনের পর্যটন মৌসুমের ভরা সিজনে গত ৫ মাসের বিরূপ পরস্থিতি কেটে যাবে।’
‘পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেড়াতে আসলে তাদের জন্য নিরাপদ সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন- করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারেও যেহেতু সাফল্য আসছে, সেহেতু আমার বিশ্বাস করোনাকে জয় করে আবার স্বাভাকি হবে আমাদের জীবন এবং একই সাথে পুরনো ছন্দে ফিরবে এখানকার পর্যটনও।’
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত মাসের শেষাংশে খোলার পর আমরা আশানুরূপ পর্যটক এখনো পাইনি। এখনো বিভিন্ন কাজে আসা লোকজনই বেশি মোটেলে। পর্যটকদের আগমন এখনো ছেনা ছন্দে ফেরেনি। আশা করছি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে সব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের জন্য সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে গত টানা ছয়মাস বন্ধ রাখার পর পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্র। স্বাস্থ্যবিধি মানার সাতটি শর্তে সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট হোটেল মোটেল খুলে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন। ধীরে ধীরে সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা।
তিনি জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিলো, ধীরলয়ে তা কাটছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও আসছেন। আশা করছি শীঘ্রই পুরনো চেহারায় ফিরবে সাজেক।’
রাঙামাটি পর্যটন নৌঘাটের ব্যবস্থাপক রমজান আলী জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটক। আস্তে আস্তে বাড়ছে পর্যটক। এভাবে চললে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলা এবং পাহাড়ের অন্য দুই জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকেও খবর পাওয়া গেছে, ধীরে ধীরে সেখানকার পর্যটনের অচলাবস্থাও কাটছে। বাড়ছে পর্যটকদের উপস্থিতি। তবে এই চিত্র খুবই ধীরলয়ের। সেখানকার হোটেল মোটেল রিসোর্ট মালিক ও পর্যটন স্থাপনার ব্যবস্থাপকরা আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শীঘ্রই চেনা ছন্দে ফিরবে পাহাড়ের পর্যটন।