চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়টি অনুভূতির বিষয়। এটি কাগজে লেখা কিছু নয়, এটাকে ধারণ ও লালন করতে পারলেই নতুন প্রজন্মের ভেতর দেশপ্রেম জেগে উঠবে। এই চেতনা সত্যিকার অর্থে ধারণ করতে পারলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস সার্থক ও সফল হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সেই সাথে যে ৩০ লক্ষ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা সারাজীবন লালন করতে হবে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়ে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের নেতৃত্ব হাতে তুলে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা ফাউন্ডেশন এবং বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমির যৌথ উদ্যোগ গতকাল শুক্রবার বিকেলে মোমিন রোডস্থ প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও লায়ন আর.কে রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সুকান্ত ভট্টাচার্য। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, কবি আশীষ সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস, বাদশা মিয়া ও বিজয় একাত্তর সংগঠনের সভাপতি সজল চৌধুরী।
প্রধান অতিথি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃত করা হয়। আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের শিশু শ্রেণি হতে মিথ্যা ইতিহাস শিখানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আবার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যবইতে তুলে ধারার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়ন ও অগতির পেছনে রয়েছে মূলতঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, তিনি বেঁচে থাকলে ইতোমধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতো আমাদের দেশ। উদ্বোধক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে আমার ভাই সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরীকে হারিয়েছি। এরকম লাখো শহীদের আত্মাহুতির বিনিময়ে যে বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি তা সোনার বাংলায় রূপান্তর করা গেলেই তাদের এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর বেনু কুমার দে বলেন, আজকের নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে স্বাধীনতার প্রকৃত ফল পাওয়া যাবে। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি