নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়ার নিকটবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকদিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত শূন্য রেখায় অবস্থানকারী রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, রোববার দুপুরে সীমান্তের ওপারে আরকান বিজিপির ঘাঁটি (ক্যাম্প) থেকে বিকট শব্দ শুরু হলে এ পারে শূন্যরেখায় থাকা ৫ হাজার রোহিঙ্গাসহ, বাইশপাড়ি, উওর পাড়া, তুমব্রু, জলপাইতলী, ঘুমধুম ও নয়াপাড়ায় বসবাসরত সীমান্তের হাজারো এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। গোলাগুলির বিকট শব্দে এলাকাবাসী যখন দিগি¦দিক ছোটাছুটি করছিল ঠিক বেলা ২টা ৪২ মিনিটে তখন ঘুমধুমের তুমব্রু উওর পাড়া মসজিদের সামনে এসে ছিটকে পড়ে মর্টারের গোলা। গোলাটি নিক্ষেপ করে মায়ানমার সেনাবাহিনী। বর্তমানে উক্ত স্থানে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। অপরদিকে ৫ হাজার রোহিঙ্গাসহ এলাকাবাসী রয়েছেন আতঙ্কে। এলাকাবাসী জানান, মিয়ানমারের গোলাগুলির বিকট শব্দে কাঁপছে এপারও। তাতে আতঙ্কে কোনারপাড়ার পার্শ্ববর্তী শূন্যরেখার (নো ম্যানস ল্যান্ড) আশ্রয় শিবিরে থাকা প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা। ওপারের গোলাগুলির ঘটনা বিজিবি নজরদারিতে রাখলেও আজকের (গতকালের) মর্টার শেল নিক্ষেপে আতংক বিরাজ করছে সীমান্তে।
ছিটকে পড়া মটর গোলার স্থান থেকে মিয়ানমার সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ১ কিলোমিটার। প্রতিদিন থেমে থেমে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গোলাগুলি। শূন্যরেখার দিকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে প্রায় ৬শ’ পরিবারে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা আছে। গোলাগুলির শব্দে তারা বেশ আতঙ্কে।
এলাকাবাসী জানান, শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে কাঁটাতারের বাইরে পাহাড় চূড়ায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি স্থাপন করেছে।
বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে ওদের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে ঝামেলা চলছে। আমরাও বিষয়টা জেনেছি। যা কিছু ঘটছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। আমরাও সতর্ক আছি।’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু পয়েন্টে মর্টারশেল নিক্ষেপ হয়েছে কি না- জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা আমরাও শুনেছি। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে।’