সুপ্রভাত ডেস্ক »
‘বিএনপির আন্দোলনের হাট ভেঙে গেছে, মির্জা ফখরুলদের দম ফুরিয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নানা সময় নানা লোকের ওপর ভর করে। না জানি বিএনপি কখন কবিরাজদের দারস্থ হয়। সেটার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।’
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. ইউনূসের ওপর ভর করেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নোবেল পেলে কেউ আইনের আওতায় আসবেন না, এমন কোনও নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। তিনি শ্রমিকদের পাওনা দেননি। সে কারণে তিনি আইনের আওতায় আসবেন। পৃথিবীর সব দেশে শ্রমিকদের জন্য আইন রয়েছে, আমাদের দেশেও আছে।’ খবর বাংলাট্রিবিউনের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার কথা বলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ কীভাবে বদলে গেছে। এগুলো দেখে পাকিস্তানের গা জ্বলে। তাদের দোসর বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে। কারণ, শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তারা (বিএনপি) বুঝে গেছে— তারা জনগণের কাছে কী মুখে ভোট চাইবে।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়ে চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারও বিজয়ী করবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দেশে অপপ্রচার চালাবেন না। আসুন, নির্বাচনে আসুন। আর ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। কারণ, শেখ হাসিনা শ্রমিকের মজুরি এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে, রিকশাচালক ভাইয়েরা দুপুর দুইটা পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে এক হাজার, ১২শ, ১৫শ টাকা আয় করেন। অর্ধেক দিনের উপার্জন দিয়ে তারা ২০ কেজি চাল কিনতে পারেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফখরুল সাহেব বললেন, সরকার নাকি তাকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু যদি কেউ অপরাধ না করে, তাহলে কেন সে গ্রেফতার হওয়ার কথা বলবে। আসলে তার মনে পুলিশ পুলিশ। নিশ্চয়ই তিনি কোনও যড়যন্ত্র বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুক ইসলাম আমিন প্রমুখ।