রাজু কুমার দে, মিরসরাই :
চাল, তেল, ডাল, চিনি, রড সব ধরণের পণ্য চুরি করতে তিনি হস্তসিদ্ধ। রয়েছে একাধিক চোরাই তেলের দোকান। একাধিক সহযোগী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোট কমলদহ বাজারে রাতের বেলায় হারিকেল জ্বালিয়ে পরিবহন চালকদের কাছ থেকে চোরাই তেল কিনে নেন। অবশেষে ধরা পড়ল সেই নুরম্নজ্জামান ওরফে নুরু। বুধবার (১৩ মে) রাতে ৬০ বস্তা সরকারি চালসহ র্যাব-৭ এর একটি দল উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোট কমলদহ গ্রামের একটি গোডাউন থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের পুত্র নুরুজ্জামান নুরু (৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট কমলদহ বাজারে পণ্য লুটের অন্যতম হোতা। চাল, তেল, ডাল, রড চিনিসহ সব ধরনের পণ্য লুটের সাথে সে জড়িত। রাতের বেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহণ চালকদের সাথে যোগসাজেসে বিভিন্ন পণ্য লুট করতো। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানিয়েছেন নুরুজ্জামান ওরফে নুরু।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ সুপ্রভাতকে জানান, গত দুই মাস আগে নুরুজ্জামানকে গামের্ন্টেসের কাপড় চুরির অভিযোগে ছোট কমলদহ বাজারে স্থানীয়রা পিটিয়েছে। নুরম্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সব ধরনের পণ্য লুটের সাথে জড়িত। ছোট কমলদহ বাজারে নুরুর তিনটি চোরাই তেলে দোকান রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নুরু আওয়ামী লীগের কেউ নন। একটি স্বার্থানেষ্বী মহল নুরুকে আওয়ামী লীগ বলে প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি।
চাল উদ্ধার বিষয়ে র্যাব ৭ এর (ফেনী) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মো. নুরম্নজ্জামান সুপ্রভাতকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুরু মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহণ থেকে বিভিন্ন পণ্য লুট করতো বলে জানিয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া চালগুলো কোথায় থেকে এনেছে তা তদনেত্মর স্বার্থে জানাতে রাজি হননি। এবিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।