রাজু কুমার দে, মিরসরাই:
সরকার গণ পরিবহণে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের প্রতি সিটে একজন যাত্রী বসার নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। কিন’ পরিবহন শ্রমিকরা ৬০ শতাংশের স্থলে নিচ্ছেন ডবল। এত কিছুর পরও পরিবহন শ্রমিকরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি মিরসরাইয়ের বিভিন্ন পরিবহণ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাড়া বৃদ্ধি করেও পরিবহণ শ্রমিকদের কোন লাভ হয়নি। ভাড়া বৃদ্ধি করলেও সড়কে কমে গেছে যাত্রী। কখনো কখনো গ্যাস কিংবা তেলের টাকা দিয়ে চালক এবং হেলপারের জন্য কিছু থাকে না। অনেক সময় মালিকের জন্য বাঁচিয়ে চালক হেলপাররা সামান্য পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়ি যান।
জানা গেছে, মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্তচয়েস ও উত্তরা সার্ভিসের ১৫০টি যাত্রী বাহী বাস চলাচল করে থাকে। এদের মধ্যে চয়েস সার্ভিসের প্রতিটি গাড়িতে চালক ও হেলপারসহ থাকেন দুজন ও উত্তরা সার্ভিসে থাকে তিনজন শ্রমিক।
উত্তরা সার্ভিসের চালক মো. করিম জানান, বারইয়ারহাট থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়া আসা করতে একটি গাড়ির ৩০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। যার মূল্য ১৯৫০ টাকা। এছাড়া লাইন খরচ সহ একটি গাড়ি সড়কে চললে দৈনিক ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন’ সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করলেও সড়কে যাত্রী কমে যাওয়ায় তারা খরচ তুলতে পারছে না। সারা দিন গাড়ি চালিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে খালি হাতে। এভাবে চললে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
চয়েস সার্ভিসে ‘দত্ত পরিবহণ’ এর মালিক সঞ্জয় দত্ত জানান, চয়েস সার্ভিসে তার ৪টি গাড়ি রয়েছে। কিন’ লোকসান হওয়ায় দুইটি গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। এভাবে চললে বাকি দুইটি গাড়িও বন্ধ রাখতে হবে। সরকারের দেয়া প্রনোদনার যথাযথা ব্যবহার দাবি করেন তিনি।
চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস হিউম্যান হলার শ্রমিক ইউনিয়ন বারইয়ারহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দিন মাসুক জানান, মহাসড়কে যাত্রী কমে যাওয়ায় অনেক পরিবহন সারা দিন শ্রম দিয়েও উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। ফলে বেকার হচ্ছে শ্রমিকরা। তাই শ্রমিকদের সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস হিউম্যান হলার মালিক ইউনিয়ন (২৪৬৪) এর সভাপতি রফিক উদ্দিন জানান, সরকার ভাড়া বৃদ্ধি করলেও সড়কে যাত্রী কমে যাওয়ায় নিয়মিত লোকসান গুনতে হচ্ছে পরিবহণ মালিকদের। তাই অনেক মালিক পরিবহন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।