রাজু কুমার দে, মিরসরাই »
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কমছে পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা। অপরদিকে বাড়ছে গরুর খামার। তবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের তথ্যে কিছুটা গরমিল পাওয়া গেছে। মিরসরাই পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিনের তথ্য মতে, মিরসরাই উপজেলাতে ২০১৯ সালে ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৯৬০টি বয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার ছিল। কিন্তু খাদ্য ও ঔষধের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি লোকসান গুণতে গুণতে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছু খামার ধুঁকে ধুঁকে চলছে। কিন্তু কয়টি খামার বন্ধ হয়েছে সে তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলতে পারেননি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, বর্তমানে মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১১শত টি গরু খামার রয়েছে। ১১শত গরু খামারে পশু রয়েছে ৯৫ হাজার ৯০০টি। ৫ বছর আগে মিরসরাইয়ে গরু খামার ছিল ৮০০ টি। অন্যদিকে ৫১৭টি বয়লার ও ২২টি লেয়ার খামার রয়েছে। ৫ বছর আগে কয়টি বয়লার খামার ছিল এমন তথ্য নেই প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে। তবে ৫ বছর আগে ২৭টি লেয়ার খামার ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম ফরিদের দাবি মিরসরাইয়ে পোল্ট্রি খামার তেমন কমেনি।
এছাড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে ৩৮টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পরিবারকে গাভি ও ভেড়া দিয়ে স্বাবলম্বী করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে গাভি পাওয়া করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির পরিবারের সদস্য ধর্মতি ত্রিপুরা জানান, তিনি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে একটি গাভি পেয়েছেন। গাভিটি ইতিমধ্যে বাচ্চা প্রসব করেছে। তিনি ওই গাভির দুধ বিক্রি করে সংসারের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
মিরসরাই রিজার্ভ পাড়ার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি বাসিন্দা হরিরং ত্রিপুরা বলেন, তিনি একটি ভেড়া পেয়েছেন। ভেড়াটি লালন পালন করছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে আরো জানা গেছে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের দেয়া ১৯টি গাভির মধ্যে ১৪টি গাভি ইতোমধ্যে বাচ্চা প্রসব করেছে। এতে করে পরিবারগুলো গাভির দুধ বিক্রি করে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছে। এছাড়া ১৬টি ইউনিয়নে ৩টি ক্যাম্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ উপকার ভোগীর মাঝে কৃমি নাশকসহ বিভিন্ন ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, মিরসরাইয়ে গত ৫ বছরে প্রায় ৩০০টি গরু খামার বেড়েছে। বর্তমানে পোল্ট্রি খামার রয়েছে ৫৩৯টি। তবে পোল্ট্রি খামার তেমন কমেনি।